গভীর রাতে পাঠাওচালককে হত্যা: ছিনতাইকারী গ্রেফতার
গভীর রাতে যাত্রীবেশে পাঠাওচালককে হত্যা করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালানোর সময় কাওছার আহম্মেদ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
কাওছারের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলায়। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ ইসলাম জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মো. পারভেজ ইসলাম বলেন, বুধবার (২৯ জুন) দিনগত রাত দুইটার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ একটি কল আসে। কলে জানানো হয় যে, পল্লবীর সুলতান মোল্লা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন আব্দুল লতিফ মিয়ার বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার ওপর একটি মরদেহ পড়ে আছে।
‘ওই তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে থানার একটি টহল দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে পরনে জিন্সের প্যান্ট, পাশে হেলমেট রাখা অবস্থায় গলা কাটা একটি লাশ দেখতে পায় দলটি। পুলিশ তাৎক্ষণিব ধারণা করে কোনো মোটরসাইকেল চালককে হত্যা করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সব থানায় ঘটনাটি জানিয়ে দেওয়া হয়।’
পল্লবী থানার ওসি বলেন, আমাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে নামে সাভারের বিরুলিয়া পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা। রাত আড়াইটার দিকে বিরুলিয়া পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) দ্রুত গতিতে আসা একটি মোটরসাইকেল থামার সংকেত দিলে সেটির চালক না থেমে উল্টা ঘুরে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় অন্য পুলিশ সদস্যদরে সহযোগিতায় মোটরসাইকেলটির চালককে আটক করা হয়।
‘আটক ব্যক্তির কাপড়ে ও মোটরসাইকেলে রক্তের দাগ থাকায় ও কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় বিরুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বিষয়টি পল্লবী থানায় জানান। পল্লবী থানার একটি দল সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে কাওসারকে আটক করে ও মোটরসাইকেলটি হেফাজতে নেয়।’
মো. পারভেজ ইসলাম আরও বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কাওছার জানান, বুধবার রাত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে কালশী মোড় থেকে গাবতলী যাওয়ার জন্য দেড়শ টাকা ভাড়ায় একজন পাঠাও চালকের মোটরসাইকেলে ওঠেন তিনি। মোটরসাইকেলটি আব্দুল লতিফ মিয়ার বাড়ির সামনে আসলে চালককে থামতে বলে। এরপর আগে থেকেই ব্যাগে রাখা অ্যান্টি কাটার দিয়ে মোটরসাইকেল চালকের গলায় পোঁচ দেন। পরে মোটরসাইকেলসহ চালক রাস্তার উপরে পড়ে গেলে তিনি মোটরসাইকেল ও চালকের মোবাইল নিয়ে বিরুলিয়া সেতু দিয়ে সাভারের দিকে পালিয়ে যান।
টিটি/এসএএইচ/জেআইএম