রাবি শিক্ষক হত্যার চাপাতিটি বগুড়ায় কেনা


প্রকাশিত: ০২:১৪ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০১৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শফিউল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি বগুড়া থেকে কেনা হয়েছিল।

এ ঘটনায় চাপাতি প্রস্তুতকারক সাধন কর্মকারসহ আটক ৬ জনকে রাজশাহী পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। উক্ত চাপাতিতে সাধন কর্মকারের নাম লেখাসহ চাপাতিটি রাজশাহী থেকে উদ্ধার করেছে আরএমপি। তবে, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে চাপাতি তৈরি এবং বিক্রি ছাড়া অন্য কোনো উল্লেখ্যযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. শামসুদ্দীন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. শামসুদ্দীন বুধবার জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শাফিউল ইসলামকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রিহাস পল্লী এলাকায় গত ১৫ নভেম্বর শনিবার বিকেলে কয়েকজন দুবৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তাকে আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতিকালে তিনি মারা যান। এ হত্যাকাণ্ডে যে ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে তা হলো চাপাতি। হত্যাকাণ্ডের ২ দিন পর রাজশাহী থেকে চাপাতিটি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত চাপাতিতে সাধন কর্মকারের নাম লেখা আছে। সেই অনুযায়ী এবং অানছার উল্লাহ ফেসুবক সাইডে স্ট্যাটার্স দাতা ২ জনসহ বগুড়ায় অভিযান চালিয়ে উক্ত চাপাতি প্রস্তুতকারক সাধন কর্মকর্তাসহ ৬ জনকে আটক করা হয়।

আটকদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শফিউল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতিটি বগুড়া সাধন কর্মকর্তা তৈরি করেছে এবং তার দোকান থেকে কবে কারা এটি কিনেছে তা জানে না বলে জানিয়েয়েছে সাধন চন্দ্র কর্মকার। তবে, রাবি শিক্ষক হত্যাকাণ্ডে বগুড়া থেকে আটক ৬ জন জড়িত ছিল কিনা সে সম্পর্কে উল্লেখ্যযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

আটকরা হলো, বগুড়া সদর উপজেলার আশকোলা গ্রামের মৃত কালীপদ কর্মকারের ছেলে সাধন চন্দ্র কর্মকার (৪০), আরেক ছেলে ভজন চন্দ্র কর্মকার (৩৫), স্বাধীন চন্দ্র কর্মকতারের ছেলে সুদর্শন কর্মকার (২৫), গোকুল গ্রামের সমশের নুর খোকনের ছেলে রাহেনুল ইসলাম স্বাধীন (১৬), কাহালু উপজেলার পাচপীর প্রতাপপুর এলাকার গয়নাথ চন্দ্র’র ছেলে অমল চন্দ্র বর্মন (২৫) এবং শিবগঞ্জ উপজেলার হাজরাবাড়ি এলাকার আব্দুর সাত্তারের ছেলে শরিফুল ইসলাম(২৫)।

বগুড়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) মো. নাজির আহমেদ খান জানান, রাজশাহী পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তার কাছে জেনেছি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শফিউল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি বগুড়া থেকে কেনা হয়েছিল এবং বগুড়ায় সাধন চন্দ্র কর্মকার তৈরি করেছে। সেকারণে আরএমপি বগুড়ায় অভিযান চালিয়ে চাপিত প্রস্তুতকারক সাধন চন্দ্র কর্মকারসহ ৬ জনকে আটক করেছে।

উল্লেখ্য, রাজশাহী মতিহার জোনের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার ও সহকারি কমিশনার রফিকুল ইসলাম এবং সহকারি পুলিশ সুপার এএইচএম মঞ্জুর মোর্শেদের নেতৃত্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.একেএম শফিউল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বগুড়ায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করেছে আরএমপি পুলিশ। রোববার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলার তিনস্থানে অভিযান চালিয়ে এদেরকে আটক করেছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।