বুড়িগঙ্গা শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর দূষণরোধে প্রকল্প


প্রকাশিত: ১১:৩৭ এএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৬

বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ নদীর দূষণরোধে প্রকল্প গ্রহণ করবে সরকার। প্রকল্প গ্রহণের পর ফিজিবিলিটি স্টাডি করার জন্য কনসাল্টেন্ট নিয়োগ দেয়া হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত উপরোক্ত নদীগুলোর দূষণরোধে করণীয় নির্ধারণ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন উপস্থিত ছিলেন।

দূষণের হাত থেকে নদীকে রক্ষা করতে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং । সেসব কর্মসূচিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য, মেয়র ও কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ত করার  সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।

বৈঠকে আরো সিদ্ধান্ত হয় যে, সুনির্দিষ্ট সময় দিয়ে হাজারিবাগের ট্যানারি কারখানা স্থানান্তরে শিল্প মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ট্যানারি স্থানান্তর করা না হলে সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। এছাড়া যেসব শিল্প কারখানায় বর্জ্য শোধনাগার (এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট-ইটিপি) আছে, তা চালু না রাখলে শুধু জরিমানা নয়, সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। যেসব প্রতিষ্ঠানে ইটিপি স্থাপন করা হয়নি, সেগুলোতে সুনির্দিষ্ট সময় দিয়ে তা স্থাপনে বাধ্য করা হবে- অন্যথায় কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে।
এসএ/এসকেডি /এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।