শেখ হাসিনার নাম চিরদিন জনগণের হৃদয়ে গেঁথে থাকবে: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৪৬ পিএম, ২৫ জুন ২০২২
মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি প্রান্তে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম জনগণের হৃদয়ে চিরদিন গেঁথে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৫ জুন) দুপুর ১টায় মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি প্রান্তে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্যকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সেতুর নাম নেত্রীর নামে দিতে চেয়েছিলাম ‘শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু’। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী রাজি হননি। অনেক চেষ্টা করেছি, আমাকে ভুল বুঝবেন না। নেত্রী কিছুতেই রাজি না।

তিনি বলেন, জনগণের সামনে বলতে চাই— কাগজে লিখবো না ছিঁড়ে যাবে, ব্যানারে লিখবো না মুছে যাবে, পাথরে লিখবো না ক্ষয়ে যাবে, হৃদয়ে লিখবো নাম রয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী আজকে নিজের নাম পদ্মা সেতুর সঙ্গে যুক্ত করেননি। কিন্তু বাংলার জনগণ জানে, বাংলার জনগণের হৃদয়ে আজকে তিনি যে আবেগ-ভালোবাসা এঁটে দিলেন- যতদিন পদ্মা সেতু থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আপনাকেও মানুষ স্মরণ করবে। শেখ হাসিনার নাম চিরদিন আপনাদের (জনগণের) হৃদয়ে গেঁথে থাকবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যার ডাকে সাড়া দিয়ে পদ্মাপাড়ের অনেক মানুষ তাদের বাপ-দাদার বাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন- তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। শেখ হাসিনার মুখের দিকে তাকিয়ে আপনারা এই ত্যাগ স্বীকার করেছেন। যখন চারদিকে নানান ষড়যন্ত্র তখন নেত্রী আমাদের সাহস দিয়েছিলেন। আমাদের বলেছিলেন ‘এগিয়ে যেতে হবে, পিছু হটার আর সুযোগ নেই। আমি শপথ নিয়েছি, কারও কাছে মাথা নত করবো না। আমি পদ্মা সেতু করবোই, এটাই আমার অঙ্গীকার।’ তিনি তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন। সেজন্য এ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ আজ এখানে একত্রিত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর বীর কন্যা আপস করেননি। সাহসের সঙ্গে এগিয়ে গেছেন। চক্রান্ত আর সব বাধাকে অতিক্রম করে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন বাঙ্গালি বীরের জাতি। অপমানের প্রতিশোধ আমরা নিয়েছি।

আইএইচআর/কেএসআর/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।