বাজিতপুরে মাকে গলা কেটে হত্যা করলো ছেলে


প্রকাশিত: ০৪:৩৩ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে মাকে গলা কেটে হত্যা করেছে তার ছেলে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়নের দড়িয়াকন্দি গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত সমস্ত বানুর বয়স ৭০ বছর। তিনি ওই গ্রামের মৃত ধনু মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনার পর পালিয়ে গেছে ঘাতক ছেলে জালাল উদ্দিন।

পুলিশ জানায়, দিলালপুর গ্রামের ধনু মিয়ার তিন ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে দুই ছেলে ঢাকায় থাকেন। ঘাতক জালাল আর তার মা বাড়িতে থাকতেন। জালালের বৃদ্ধা মা সমস্ত বানু বাড়িতে শুয়েছিলেন। দুপুর আড়াইটার দিকে জালাল ঘরে প্রবেশ করে তাকে বটি দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

অনেকক্ষণ পর এ খবর জানতে পেরে আশপাশের মানুষ ছুটে এসে এ নৃশংস হত্যার খবর জানতে পারে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বৃদ্ধার গলাকাটা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে।

বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জালাল উদ্দিন কিছুটা মানসিক অসুস্থ ছিল বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন। তিনি জানান, মায়ের সঙ্গে তার তর্কাতর্কি হয়েছিল বলে জানা গেছে। এক পর্যায়ে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ধারালো বটি দিয়ে ৭০ বছরের বৃদ্ধা মাকে গলা কেটে হত্যা করে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এস এম মোস্তাইন জানান, ‘পরিবারের লোকজনের দাবি ঘাতক জালাল উদ্দিন কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধী। সে একবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিল।

পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠনো হয়েছে। রাত সোয়া ১০টায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।

নূর মোহাম্মদ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।