পুলিশের বিরুদ্ধে প্রবাসীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ


প্রকাশিত: ০৩:০৪ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬

যশোরে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রবাসী এক যুবককে অপহরণ ও মুক্তিপণ না পেয়ে হেরোইনসহ মিথ্যা মামলা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মামলার ক্ষেত্রে পুলিশের ওই সদস্য যশোর সদর ফাঁড়ি ইনচার্জের অনুপস্থিতিতে তার স্বাক্ষরও জাল করার অভিযোগ উঠেছে।

সদর উপজেলার তপসিডাঙ্গা গ্রামের ইসমাইল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তার একমাত্র ছেলে মিকাইল হোসেন গত ১০ জানুয়ারি মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেন। দুই বছর পর মিকাইল দেশে এসেছেন মাত্র এক মাসের ছুটিতে। গত ২২ জানুয়ারি সদর ফাঁড়ির এএসআই বাবুল আকতার শহরতলীর পুলেরহাট বাজার থেকে মিকাইল হোসেনকে সদর ফাঁড়িতে ধরে এনে এক লাখ ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। এসময় তাকে মারপিটও করা হয়।

নির্যাতনের কথা মোবাইল ফোনে জানালে মিকাইলের বোন ফাতেমা পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে গিয়ে এএসআই বাবুললকে দেন। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয় না। মিকাইলের ওপর নির্যাতন চলতে থাকে। কোনো উপায় না পেয়ে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ আলী রেজা রাজুসহ সাংবাদিকদের কাছে যায়।

সাবেক সাংসদসহ সাংবাদিকরা বাবুলকে ফোন দেয়া শুরু করে। এসময় বাবুল সোমবার দুপুরে মিকাইলকে ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ কোতয়ালি থানায় হাজির করে একটি মামলা দেন। এই মামলার বাদী করা হয় ঢাকায় অবস্থানরত সদর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রফিকুল ইসলামকে এবং তার স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ উঠে।

এ খবর পেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় নভো এয়ারের দ্বিতীয় ফ্লাইটে ঢাকা থেকে যশোরে ফিরেছেন এসআই রফিক।

অপর একজনের স্বাক্ষর জাল করে থানায় মামলা নথিভুক্ত করার বিষয়ে যশোর কোতয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গনি মিয়া বিষয়টি চেপে যাবার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন।

অপরদিকে, ফাঁড়ি ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ঢাকাতে ছিলেন। সোমবার নভো এয়ারের দ্বিতীয় ফ্লাইটে যশোরে আসেন। তিনি ঢাকায় অবস্থানকালে কিভাবে তার স্বাক্ষরে মামলা নথিভুক্ত হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি খোঁজ নিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম আরিফুল হক বলেন, এসআই রফিক সোমবার বিকেলে ঢাকা থেকে যশোরে ফিরেছেন। তবে বাবুলের এই মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি দেখছি।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ আলী রেজা রাজু বলেন, ছেলেটির পরিবার আমার পরিচিত। বিদেশ থেকে এসেছে। টাকার লোভে পুলিশ তার পিছনে লাগে। আমি বিষয়টি থানার ওসি গনি শেখকে জানিয়েছিলাম, কিন্তু সে সুবিচার করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে এএসআই বাবুল আকতারের দাবি মিকাইল মাদক ব্যবসায়ী, তিনি তাকে মাদকদ্রব্য বিক্রি করতে দেখেছেন।

মিলন রহমান/এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।