রাব্বীর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে আবেদনের শুনানি বুধবার


প্রকাশিত: ১২:৫০ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬

পুলিশের নির্যাতনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীর অভিযোগ (এফআইআর) মামলা হিসেবে নিতে হাইকোর্টের আদেশের ওপর চেম্বার বিচারপতির দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছেন রিট আবেদনকারীরা। মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেয়া আবেদনের ওপর বুধবার চেম্বারজজ আদালতে শুনানি হতে পারে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন অন্যতম আবেদনকারী ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান।

এর আগে গত ২১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী রাব্বীর করা লিখিত অভিযোগ ‘এফআইআর’ হিসেবে নিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করে আদেশ দেন।

সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ও এক গণমাধ্যমকর্মীর করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে গত ১৮ জানুয়ারির হাইকোর্টের আদেশে রাব্বীর ১১ জানুয়ারি দেওয়া অভিযোগ এজাহার হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এছাড়াও গোলাম রাব্বীকে নির্যাতন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং রাব্বীর অভিযোগ এজাহার হিসেবে কেন নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন।

স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, তেজগাঁও জোনের উপ-কমিশনার, মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মোহাম্মদপুর থানার এসআই মাসুদ সিকদার ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন।

এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি রোববার নির্যাতনের ঘটনায় তিন কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেন ঘটনার দিন রাব্বীকে উদ্ধারকারী তার বন্ধু সাংবাদিক জাহিদ হাসান এবং দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান ও এস এম জুলফিকার আলী জুনু।

গত ০৯ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক গোলাম রাব্বীকে আটক করেন মোহাম্মদপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ শিকদারসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। ইয়াবা ব্যবসায়ী-সেবনকারী বানানোর ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন তারা। এরপর রাত ৩টা পর্যন্ত তাকে নিয়ে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে বেড়ান এবং মারধর করেন। এমনকি তাকে বেড়িবাঁধে নিয়ে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকিও দেন।

পরদিন সকালে এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন রাব্বেী। তবে তা মামলার হিসেবে গ্রহণ করেনি পুলিশ। পুলিশের মারধরের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর-রশিদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে পুলিশ সদর দফতর।

গোলাম রাব্বীকে নির্যাতনের ঘটনা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এসআই মাসুদকে শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এর আগে ১১ জানুয়ারি সকালে তাকে মোহাম্মদপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর বলেন, রাব্বীর ঘটনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছে। ওপরের অনুমতি পেলে রাব্বীর দেয়া অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হবে।

এফএইচ/এসএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।