সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে চালু হচ্ছে আইসিইউ


প্রকাশিত: ১০:৪৪ এএম, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬

রাজধানীর ফুলবাড়িয়ার সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে চালু হচ্ছে ছয় শয্যার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ও তাদের পোষ্যদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট ১৫০ শয্যার এ হাসপাতালটি নতুন আঙ্গিকে চালু করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আউটডোর, ইনডোরে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক রোগী চিকিৎসার পাশাপাশি সাতটি ওটিতে রোগীর অস্ত্রোপচার হচ্ছে। মুমূর্ষু রোগীদের জন্য আইসিইউ গুরত্বপূর্ণ হলেও এতদিন হাসপাতালটিতে আইসিইউ চিকিৎসা ছিল না।

হাসপাতালের শীর্ষ কর্মকর্তারা জনান, ইতোমধ্যেই আইসিইউ চালুর সর্বাত্মক প্রস্তুুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া মাত্রই এ বিভাগটি চালু হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছয় শয্যার আইসিইউটি চালুর জন্য চিকিৎসক খুঁজছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অ্যানেসথেসিয়া ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন কিংবা আইসিইউতে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন ১৫ চিকিৎসককে সেখানে পদায়ন দেবে মন্ত্রণালয়। চিকিৎসকদের মধ্যে একজন সিনিয়র কনসালটেন্ট, ছয়জন জুনিয়র কনসালটেন্ট ও  আটজন মেডিকেল অফিসার নিয়োগ দেয়া হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পারসোনাল ৩ এর সিনিয়র সহকারী সচিব নুরুন্নাহার গত ২৪ জানুয়ারি দেয়া এক চিঠিতে যোগ্য বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডাারের কর্মকর্তাদের নামের তালিকা পাঠানোর নির্দেশনা জারি করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, রাজধানীতে অবস্থিত এ হাসপাতালে পদায়ন পেতে চিকিৎসকদের মধ্যে তদবিরের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। অ্যানেসথেসিয়া কিংবা আইসিইউতে কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই এমন অনেক চিকিৎসক প্রভাবশালীদের দিয়ে মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা ও চিকিৎসক নেতাদের কাছে জোর তদবির করছেন।

জানা গেছে, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের তথ্যকেন্দ্রে কর্মরত জহির মিয়া মঙ্গলবার জাগো নিউজকে জানান, আউটডোরে গড়ে প্রতিদিন ৪শ থেকে ৫শ রোগী আসছে। ইনডোরে গড়ে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ জন রোগী ভর্তি থাকছেন। ৭টি ওটিতে নিয়মিত অস্ত্রোপচার কার্যক্রম চলছে। গত বছর আউটডোরে মোট ১লাখ ৩৩ হাজারেরও বেশি রোগী চিকিৎসা নিয়েছে বলে তিনি জানান।

এমইউ/এসকেডি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।