মিরপুরে মেট্রোরেলের স্টেশনে বসলো নিরাপত্তা বেষ্টনী
রাজধানীর মিরপুরে মেট্রোরেলের নির্মাণাধীন স্টেশনে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা বেষ্টনী। সম্প্রতি নির্মাণকাজ চলার সময় ইট পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর নেওয়া হয়েছে এ ব্যবস্থা। অন্য স্টেশনগুলোতেও চলছে নিরাপত্তা বেষ্টনী বসানোর কাজ। এতে স্বস্তি ফিরেছে এসব এলাকা দিয়ে চলাচল করা পথচারীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, পূরবীর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের প্রবেশপথের গেটের (মেট্রোরেলের ৫ নম্বর স্টেশন) উত্তর ও দক্ষিণ পাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে। ওপরে টিন ও দুই পাশে লোহার পাইপ দিয়ে দীর্ঘ পথজুড়ে বানানো হয়েছে বেষ্টনী। পূরবী সিনেমা হল সংলগ্ন রাস্তায়ও বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুর্ঘটনার পরদিনই মঙ্গলবার (৩১ মে) বেষ্টনী বসানোর কাজ শুরু হয়, শুক্রবার (৩ জুন) পুরোপুরিভাবে পূরবী স্টেশনের উভয় পাশে বেষ্টনী বসে। এছাড়া মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন সংলগ্ন ফুটপাতেও নিরাপত্তা বেষ্টনী বসানো হয়েছে।
পথচারীরা বলছেন, স্টেশনের কাজ শুরু হওয়ার আগেই নিরাপত্তা বেষ্টনী বসানোর দরকার ছিল। পাশেই হাসপাতাল, ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় মানুষ এতদিন ঝুঁকি নিয়ে পার হয়েছে। বেষ্টনী থাকলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতো না।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আফজাল বলেন, এখানকার ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকায় প্রায় প্রতিদিনই আসা লাগে। যখন বেষ্টনী ছিল না তখন আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করতে হতো। বেষ্টনী থাকলে সেদিনের দুর্ঘটনাটা ঘটতো না। মানুষ এখন নির্বিঘ্নে চলাচল করছে।
মেট্রোরেলের সিকিউরিটি অফিসার (৫ নম্বর স্টেশন) লিটন জাগো নিউজকে বলেন, কয়েকটি স্টেশনে আগেই নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে। ওইদিনের দুর্ঘটনার পর যে কয়টি স্টেশনে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া হয়নি, সেখানে বেষ্টনীর কাজ শুরু হয়ে এখন শেষের পথে।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মেট্রোরেলের ইট পড়ে নিহত হওয়ার ঘটনা একটি দুর্ঘটনা। এখানে কারও গাফিলতি ছিল না।
জানা যায়, উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মিরপুরের আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের ৯টি স্টেশন রয়েছে। দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশের কাজ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। বর্তমানে মেট্রোরেল স্টেশনের ভেতর ও বাইরে কাজ চলছে।
সোমবার (৩০ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় মিরপুর সাড়ে এগারোতে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে (মেট্রোরেলের ৫ নম্বর স্টেশন ২০৩ নম্বর পিলার) ইট পড়ে নিহত হন মাহবুবুর তালুকদার সোহেল (৪৯) নামে এক পথচারী। সেদিন আরও পাঁচ পথচারী আহত হন।
এসএম/এএসএ/এএসএম