পরিবার-পরিকল্পনায় সর্বোচ্চ বিনিয়োগের আহ্বান বিশ্বনেতাদের


প্রকাশিত: ০৩:২৪ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০১৬

প্রতিটি মানুষের জীবনের মূল্যায়ন করে সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল ২০১৫-২০৩০ অর্জনের লক্ষে পরিবার-পরিকল্পনার জন্য সর্বোচ্চ পরিমাণ বিনিয়োগ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। সোমবার বিকেলে ইন্দোনেশিয়ার টুরিজম শহর নাসাদোয়া, বালিতে ৫ দিন ব্যাপি ‘আন্তজাতিক পরিবার-পরিকল্পনা সম্মেলনে’ তারা এ আহ্বান জানান।   

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব বানকি মুনের বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংস্থাটির আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অব ইউনাইটেড অ্যান্ড নির্বাহী এক্সজিকিউটিভ ডিরেক্টর অব ইউএনডিপি ডা. বাবাটোনডি আসটিমেহিন।

তিনি বলেন, সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল অর্জনের জন্য প্রতিটি মানুষের মানবিক উন্নয়ন, দারিদ্র দূরীকরণ এবং অথনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রতিটি দেশকেই কাজ করতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা, মাতৃস্বাস্থ্য ও বাল্যবিবাহ রোধে একসাথে কাজ করতে হবে।

বালি কনভেনশান সেন্টাররে, ‘গ্রোবাল কমিউনিটি-লোকাল অ্যাকশন’ র্শীষক এ সম্মেলন আয়োজন করেন, বিল অ্যান্ড মিলিন্ডা গ্রেটস ইনস্টিটিউশন, রিপ্রোডাকটিভ হেলল্থ অ্যান্ড জন হপকিংস ব্লেমিনং স্কুল আব পাবলিক হেলথ, জাতীয় জনসংখ্যা এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর ইন্দোনেশিয়া।

আগামী ২৮ জানুয়ারী ইন্দোনেশিয়া ঘোষণার মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠান শেষ হবে। সোমবারের অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকেই ইউডোডে।

উদ্বোধনকালে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, পরিবার পরিকল্পনার সঠিক শিক্ষার মাধ্যদিয়ে সবাইকে জন্ম-নিয়ন্ত্রণ মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস  করার জন্য এক সাথে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে মেলিন্ডা গ্রেটস এর কো-চেয়ারম্যান মিলিন্ড গ্রেইটস তার ভিডিও বার্তায় বলেন, আমাদের হাতে কোনো সময় নেই, এখনই শুরু করতে হবে, তা হলেই ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, আগামী ৩ বছরের মধ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে অতিরিক্ত আরো ১২০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার এক হিসেব মতে, প্রতিদিন বিশ্বে প্রায় ৮৩০ জন নারী মৃত্যবরণ করে মাতৃগর্ভ জনিত কারণে। তার মধ্যে ৯৯ শতাংশ মৃত্যুবরণ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে।

অপরিকল্পিত গর্ভ এবং অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক বিবাহ এবং যৌনশিক্ষার অভাবে এ কারণগুলো হয়ে থাকে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। মিলিন্ডা গ্রেটস বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর ২২০ মিলিয়ন এর বেশি নারীই জানেন না পরিবার পরিকল্পনার সঠিক তথ্য।

এক হিসেবে দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের ৬৫ শতাংশের বেশি মেয়েদেরই বিয়ে হয়ে যায় ১৮ বছরের আগে এবং প্রায় ৪০ শতাংশ স্বামী-স্ত্রী পরিবার পরিকল্পনার জন্য কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না।

মিলিন্ডা জানান, গত তিন বছর আগে বিশ্ব সংস্থা নির্ধারণ করেছিল ২০২০ সালে মধ্যে ১২০ মিলিয়ন নারী এবং মেয়ে পরিবার-পরিকল্পনা সেবার আওতায় আসবে। তিনি আরো বলেন, যদি অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক গর্ভধারণ বাদ দেয়া যায় তাহলে প্রতি বছর হাজার-হাজার জীবন রক্ষা করা সম্ভব হবে।

এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশের প্রায় ৩ হাজার গবেষক, এনজিও, সরকারি কর্মচারী, ডাক্তার এবং সাংবাদিক অংশ গ্রহণ করেছেন।

এএম/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।