ন্যায়বিচার নিশ্চিত করায় গ্রাম আদালতের জনপ্রিয়তা বেড়েছে: তাজুল
দেশের গ্রাম আদালতগুলোতে এ পর্যন্ত দুই লাখের বেশি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
মন্ত্রী বলেন, ‘গ্রাম আদালতে আড়াই লাখের বেশি মামলা হয়েছিল, যার মধ্যে দুই লাখের বেশি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। গ্রাম আদালতকে কার্যকর ও শক্তিশালী করতে পারলে মানুষের আস্থা বাড়বে। গ্রাম আদালতে গ্রামীণ মানুষের মধ্যে দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করায় গ্রাম আদালতের জনপ্রিয়তা বেড়েছে।’
বুধবার (১৫ জুন) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনডিপির সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত গ্রাম আদালতের প্রভাব এবং ভবিষ্যত করণীয় শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় তিনি এ কথা জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রাম আদালতের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির ফলে তথ্যানুযায়ী প্রায় ১২ হাজার মামলা জেলা জজ কোর্ট থেকে গ্রাম আদালতে অর্পণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রামের মানুষ জমি-জমাসহ ছোট বিষয়েও মামলা করে থাকেন। এসব মামলা নিষ্পত্তি করতে গিয়ে অনেক অর্থ ও সময় নষ্ট করে দীর্ঘ সময় ধরে হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন। দেশের মানুষের কাছে গ্রাম আদালত আস্থা অর্জন করেছে বলেই দ্বিতীয় পর্যায়ে শেষে এখন তৃতীয় পর্যায়ে শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে প্রকল্পটি।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন এবং মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ এবং অবকাঠামোসহ সব খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
কুমিল্লা নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য করার জন্য বদ্ধপরিকর। নির্বাচনে যে পক্ষই জয়ী হোক, আমরা স্বাগত জানাবো। শেখ হাসিনার সরকার কোনো দল-মত দেখে উন্নয়ন কাজ করেন না। উন্নয়ন কাজ হয় দেশ ও দেশের মানুষের জন্য। ফলে যিনিই জয়ী হয়ে আসুক না কেন কুমিল্লা সিটির উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
কর্মশালায় বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মরণ কুমার চক্রবর্তী, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মলয় চক্রবর্তী, মিজ স্মৃতি কর্মকারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ইউএনডিপি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আইএইচআর/এএএইচ/জেআইএম