পাংশা-বাহাদুরপুর সড়কের বেহাল দশা


প্রকাশিত: ০৫:৪৫ এএম, ২৫ জানুয়ারি ২০১৬

রাড়বাড়ীর পাংশা-বাহাদুরপুর আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ওই অঞ্চলের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির অনেক অংশেই এখন কার্পেটিং উঠে খোয়া বের হয়ে গিয়েছে। এতে বিশেষ করে বাই সাইকেল, মোটরসাইকেল চালকদের পড়তে হয় দুর্ঘটনার কবলে। কারণ রাস্তার উঠে যাওয়া খোয়াতে স্লিপ কেটে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় অনেককে।

road

পাংশা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিআইডি) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পাংশা শহরের টেম্পুস্ট্রান্ড থেকে বাহাদুর ইউনিয়নের সেনগ্রামের কালীতলা বাজার পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কের দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার। ২০১১ সালে এই আঞ্চলিক সড়কটি মেরামত করা হয়। দীর্ঘদিন মেরামত না করা ও ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই সড়কে ঢাকাগামী বাসসহ ট্রাক, মাইক্রো, বাটাহাম্বার, নছিমন, করিমন, ট্রলি (বালুবাহী), ইজিবাইক, ভ্যান, মহিষের গাড়ি, ঘোড়ার গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। এই অঞ্চলের বাহাদুরপুর, হাবাসপুর, সেনগ্রাম, উদয়পুর, লক্ষ্মীপুর, চরদৌলতদিয়া, জরঝিকুরী, জয়কৃষ্ণপুর, তারাপুর, বকশিপুর, চরপাড়া, কাচারীপাড়া, আমবাড়িয়া, তাহেরপুর, ধোকড়াখোলসহ আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ পাংশায় যাতায়াত করে। এছাড়া পাংশা থেকে নদীপথে পাবনা ও কুষ্টিয়ায় যাওয়ার জন্যও এই রাস্তাটি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অনেক দিন ধরে সংস্কার না করায় রাস্তাটির বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে।

road

কৃষকরা জানান, এই এলাকা থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাঠানো হয়। কিন্তু রাস্তা খারাপ হওয়ায় যানবাহনের ভাড়া বেশি দিতে হচ্ছে।

ইজিবাইক চালক মহসিন জানান, রাস্তায় নানা স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া খানাখন্দের কারণে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ অল্প সময়ের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে লোকসানে পড়তে হচ্ছে তাদের। সময় অনেক বেশি লাগে যাতায়াতে। তাছাড়া  ঝাঁকির কারণে যাত্রীরাও উঠতে চায় না গাড়িতে।

road

হাবাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন খান জানান, রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য আমরা সংসদ সদস্য মো. জিল্লুল হাকিমকে অনুরোধ করেছি। তিনি জানিয়েছেন রাস্তাটি সংস্কার করার উদ্যোগ নেবেন। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কার করে মেরামত করা সম্ভব হবে।

এলজিইডির পাংশা উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, আমি পাংশায় যোগদানের আগে রাস্তাটির সংস্কার করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় অনেক স্থানে কার্পেটিং ওঠে দিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে রাস্তাটির দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে কাজ শুরু করতে পারবে বলে আশাবাদী।

রুবেলুর রহমান/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।