‘স্পাইডার-ক্যাম’ নিয়ে বিরক্ত ধোনি


প্রকাশিত: ০৩:২৮ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৬

এক বছর আগের কথা। সিডনিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে চলছে সিরিজের চতুর্থ টেস্ট। ভারতীয় ওপেনার লোকেশ রাহুলের একটি ক্যাচ উঠেছিল আকাশে। কিন্তু স্টিভেন স্মিথ সেই ক্যাচটি ফেলে দিয়েছিলেন। কারণ, স্পাইডার ক্যামেরার ক্যাবলে লেগে বলের গতি পরিবর্তণ হয়ে গিয়েছিল।

সিডনিতেই গত শনিবার ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার পঞ্চম ম্যাচের ১৯তম ওভারে বিরাট কোহলি একটি বাউন্ডারি মারলেন। সহজেই সীমানা পার হয়ে গেলো বলটা। কিন্তু আম্পায়ার বলটাকে ডেড ঘোষণা করলেন। কারণ, বলটা বাউন্ডারি লাইন পার হওয়ার আগেই লেগেছে স্পাইডার ক্যামেরায়।

ক্রিকেটের বার্ডস আই ভিউয়ের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হয় স্পাইডার ক্যামেরা। কিন্তু এই আধুনিক প্রযুক্তিই যে খেলাটিতে মাঝে-মধ্যে ভিঘ্ন ঘটায় তা এই দুটি ঘটনাতেই স্পষ্ট। এ কারণেই প্রযুক্তিটি ব্যবহারের বিরোধি কেউ কেউ।
 
বর্তমানে ক্রিকেট খেলায় নিত্য নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে৷ স্পাইডার ক্যামেরা যার মধ্যে অন্যতম। আইপিএল, বিগব্যাশের মতো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট এমনকি চলতি ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও এর ব্যবহার দেখা গিয়েছে। খেলার মাঠের বার্ডস-আই ভিউয়ের জন্যই মূলত এই ক্যামেরাটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে৷

কিন্তু স্পাইডার ক্যামেরাই এখন মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছে বিরক্তের এক মহা কারণ৷ গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে বিরাট কোহলির ওই ঘটনা সত্ত্বেও সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়ে শেষ ম্যাচে জেতার পর এবিষয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন ধোনি৷

তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট খেলায় অসুবিধা হয়ে এমন যে কোনো কিছুতেই আমার আপত্তি৷ ঠিক যেমনটা হয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলিতে মাইক কানে দিতে গেলে বা ক্যামেরা পরতে গেলে৷ আমি চাই তারের মাধ্যমে বার্ডস-আই ভিউয়ের জন্য স্পাইডার ক্যাম গুলোকে যেন সাবধানে ব্যবহার করা হয়৷ যাতে সেটি খেলায় ব্যাঘাত না ঘটাতে পারে৷’

এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন,‘আমি জানি যেসব দর্শকরা টেলিভিশনে খেলা দেখেন তাদের কাছে এটি খুব মজাদার; কিন্তু একই সঙ্গে এই ক্যামেরা যদি ৩১০-৩২০ তাড়া করার ম্যাচে চার রান আটকে দেয় তাহলে সেটাও খুব খারাপ হয়৷ কারণ এই রকম হাইভোল্টেজ ম্যাচে চারটি রান অনেক গুরুত্বপূর্ণ৷’

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।