দ্বন্দ্ব মিটে গেছে আজহার-আমিরের!


প্রকাশিত: ১২:১২ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৬

পাকিস্তান দলে মোহাম্মদ আমিরের সবচেয়ে বড় শত্রু কে? ক্রিকেটের খোঁজ-খবর ন্যুনতমও যারা রাখেন, চোখ বন্ধ করে তারা বলে দেবেন আজহার আলি এবং মোহাম্মদ হাফিজের নাম। এই দু’জনের কারণে পাকিস্তান দলে প্রবেশ করাই যেন দুরহ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো মোহাম্মদ আমিরের জন্য। শেষ পর্যন্ত পিসিবির মধ্যস্থতায় আজহার আর হাফিজ মোহাম্মদ আমিরের সঙ্গে খেলতে রাজি হলেও, তাদের মধ্যে একটা দুরত্ব থেকেই গেলো। এ পরিস্থিতিতেই নিউজিল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে সিরিজ খেলতে গেলো পাকিস্তান।

২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর এবার ওয়ানডে সিরিজে কিউইদের মুখোমুখি হচ্ছে আজহার আলির পাকিস্তান। যেখানে আজহারেরই নেতৃত্বে খেলতে নামবেন মোহাম্মদ আমির। ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে এখন ক্রিকেট বিশ্বেরই আগ্রহের বিষয়ে পরিণত হয়েছে, আজহারের নেতৃত্বে কিভাবে খেলেন আমির! কিভাবে আমিরকে নিয়ে খেলতে নামেন আজহার!

তবে, বিরোধের বিষয়টা নাকি এখন আর মোটেও অবশিষ্ট নেই। খোদ অধিনায়ক আজহার আলিই জানিয়েছেন, আমিরের সঙ্গে এখন আর আমাদের কোন দ্বন্দ্ব নেই। সব মিটে গেছে। এখন আমরা একে অপরের সতীর্থ। আমার এখন মূল কাজই হচ্ছে আমিরের নেতৃত্ব দেয়া। তার জন্য এমন একটা পরিবেশ তৈরী করা যাতে সে নিজেকে দলের জন্য শতভাগ উজাড় করে দিতে পারে।

সোমবারই শুরু হচ্ছে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজ। প্রথম ম্যাচের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আজহার আলি আমিরের প্রশংসা করে বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে দারুন বোলিং করেছেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে আমার কাজ হচ্ছে তার কাছ থেকে সেরাটা বের করে নেয়া। আশা করছি আমিরের সঙ্গে আমরা সবাই একতাবদ্ধ হতে পারবো এবং তাকে ভালো বোলিং করতে উৎসাহ দিতে পারবো। যাতে পাকিস্তানের হয়ে সে উইকেট নিতে পারেন, দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেন।’

মাত্র চার সপ্তাহ আগেই চিত্রটা ছিল একেবারেই ভিন্ন। পাকিস্তানের ২৬ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াডে আমিরের নাম থাকার কারণে ক্যাম্পই বর্জণ করেছিলেন আজহার আলি এবং মোহাম্ম হাফিজ। শুধু তাই নয়, আমিরকে নেয়া হলে নেতৃত্ব ছাড়ার হুমকিও দিয়েছিলেন আজহার আলি। শুধু তাই নয়, পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খানের কাছে পদত্যাগ পত্রও জমা দিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত পিসিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা-বার্তা বলে পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহার করেন তিনি এবং আমিরের সঙ্গে খেলতে রাজি হন।

তখনকার বিষয়টা সম্পর্কে জানতে চাইলে আজহার বলেন, ‘তখন যাই হোক, এখন তো আমি দলের অধিনায়ক। আমার কাজই হলো দলকে নেতৃত্ব দিয়ে সাফল্য নিয়ে আসা। একই সঙ্গে ড্রেসিংরূমের শৃঙ্খলা ধরে রাখাও আমার দায়িত্ব। আমরা সবাই একতাবদ্ধ এবং চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’

আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।