‘ব্যবসায়ীরা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে ভয় পাচ্ছে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩১ পিএম, ০৭ জুন ২০২২
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার/ফাইল ছবি

খাদ্য সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসায়ীদের এক সংস্থার অধীনে আনতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

মঙ্গলবার (৭ জুন) রাজধানীতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘উন্নত অর্থনীতির জন্য নিরাপদ খাদ্য’ শীর্ষক এক সেমিনারের তিনি এ কথা জানান।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্য উৎপাদনকারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ীরা সরকারি ১৮টি সংস্থার অধীনে কাজ করে। এজন্য তারা বিভিন্ন জটিলতার পাশাপাশি হয়রানিরও শিকার হন।

তিনি আরও বলেন, খাদ্য ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কৃষি বাণিজ্য শিল্প এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংস্থাগুলোর মধ্যে মতভেদ রয়েছে। এজন্য এটি কারা তদারকি করবে সে বিষয়টি কেবিনেটে (মন্ত্রীপরিষদ সভা) উত্থাপন করা হয়েছে। কেবিনেট বলে দেবে এগুলো কার কাজ।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, খাদ্য নিরাপত্তায় সব থেকে বেশি কাজ করছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারা লাইসেন্সিং অথরিটি না। এজন্য ব্যবসায়ীরা ভয় পাচ্ছে না এ সংস্থাকে। তারা (ব্যবসায়ী) লাইসেন্স যে দেয় তাদের সবচেয়ে বেশি ভয় করে।

jagonews24

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সেমিনারে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

খাদ্য ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কেউ কেউ মুনাফার জন্য ইচ্ছা করে অনিরাপদ খাদ্য তৈরি করে। আমরা চাই দেশের খাদ্য বিদেশের বাজার জয় করুক। এখন যেটুকু বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে, সেটা প্রবাসী বাংলাদেশিরা খাচ্ছেন। আমরা চাই অন্যান্য দেশের মানুষ বাংলাদেশি পণ্য খাবে। আপনারা খাদ্যের মান উন্নয়ন করুন।

চাল নিয়ে মন্ত্রী বলেন, চাল নিরাপদ করতে কতটুকু ছাঁটাই করা যাবে, কী মেশানো যাবে, কোনটা যাবে না, সে আইন করছি। তাতে ঠিক থাকবে পুষ্টিমান। খসড়া আইনটি কেবিনেটে পাস হয়ে এখন ভেটিংয়ে রয়েছে। আশা করছি আগামী অধিবেশনে সেটি হবে। তখন চাল ব্যবসায়ীদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।

চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে জনসচেতনতাও দরকার বলে জানান সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, আমরা বস্তায় চাল কিনি না। কিন্তু সেটা যখন পালিশ করে প্যাকেটে ভরা হয়, তখন ১০ টাকা বেশি দিয়ে কিনি। সেজন্য ব্যবসায়ীরাও সেটা করে।

এসময় খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, আমরা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে আরও শক্তিশালী করতে চাই। এখনও এ সংস্থা অনেক কাজ করছে।

এসময় খাদ্য সচিবের সভাপতিত্বে আর উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গিয়াসউদ্দিন মিয়া, এফএওর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ রবার্ট সিম্পসনসহ খাদ্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রধান, এফএওর প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।

এনএইচ/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।