নিবন্ধন হারালো ‘অধিকার’
বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘অধিকার’র নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো সংস্থাটির নিবন্ধন নবায়ন আবেদন নিষ্পত্তি করে গতকাল রোববার (৬ জুন) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। আদেশে সংস্থাটির করা আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজে নিয়োজিত হওয়াসহ বেশ কয়েকটি কারণে ‘অধিকার’র নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে নির্বাচন কমিশন পর্যবেক্ষক হিসেবেও সংস্থাটির নিবন্ধন বাতিল করা হয়। দীর্ঘদিন হাইকোর্টে সুরাহার অপেক্ষায় থাকার পর অবশেষে নিবন্ধন হারালো ‘অধিকার’।
২০১৫ সালের ২৫ মার্চ অধিকার-এর নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হয়। তারপর ১০ বছর মেয়াদ বাড়ানোর জন্য এনজিও ব্যুরোর কাছে আবেদন করেছিল। নবায়নের সে আবেদন ঝুলে ছিল দীর্ঘদিন। এরপর বিষয়টির নিষ্পত্তি চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করে সংগঠনটি।
এখন এনজিও ব্যুরো অধিকার-এর আবেদনটি নিষ্পত্তি করায় হাইকোর্টে আবেদনের বিষয়টিও নিষ্পত্তি হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম তারিকুল ইসলাম।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, তারা (অধিকার) নিবন্ধন নবায়নের আবেদন করেছিলো, সে আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। নবায়নের পেন্ডিং থাকা আবেদনটি নিষ্পত্তি হয়েছে, সেখানে এ সিদ্ধান্ত এসেছে। নিবন্ধন নবায়ন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ায় এখন থেকে তারা ‘অধিকার’ নামে পরিচয় দিয়ে এনজিও হিসেবে কোনো কাজ করতে পারবে না।
এনজিও ব্যুরো সূত্রে জানা গেছে, কথিত গুম-খুনসহ বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে অধিকার তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে যে তথ্য উপস্থাপন করেছে, তাতে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নিদারুণভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এনজিও ব্যুরো ব্যক্তির নাম ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা চায়। তবে মামলার কারণ দেখিয়ে সংস্থাটি কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
এছাড়া নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য, নতুন আইন অনুযায়ী আরোপিত বর্ধিত ফি ও ভ্যাট না দেওয়া, বৈদেশিক অনুদানে বাস্তবায়িত প্রকল্পের আটটি আর্থিক নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ওপর আপত্তির কোনো জবাব বা ব্যাখ্যা না দেওয়া এবং তিন প্রকল্পে আর্থিক লেনদেনে অসঙ্গতি বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিষয়ে যথাযথ জবাব না দেওয়াও অধিকার-এর নিবন্ধন নবায়নের আবেদন নামঞ্জুরের অন্যতম কারণ বলে জানা গেছে।
এইচএআর/এমকেআর/এমএস