চট্টগ্রাম বন্দরে ৬০৯ ড্রাম হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড নিলামে বিক্রি
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৫:৩৯ পিএম, ০৬ জুন ২০২২
সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ কেমিক্যাল বিস্ফোরণের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বন্দরে চার বছর ধরে পড়ে থাকা ৬০৯ ড্রাম হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড স্পট নিলামে বিক্রি করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৬ জুন) বিকেল ৪টায় এসব রাসায়নিক বিক্রির জন্য প্রকাশ্য নিলামে তোলা হয়। এসময় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মেসার্স এয়াকুব ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান ৫ লাখ ২০ হাজার টাকায় এসব রাসায়নিক কিনে নেয়।
সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর গতকাল রোববার বন্দর কর্তৃপক্ষ এসব হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের ড্রাম দ্রুত সরিয়ে নিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়।
এর পরদিনই সোমবার ৬০৯ ড্রাম হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের চালান স্পট নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। আমদানির সময় চালানটিতে ৩০ হাজার ৪৫০ কেজি কেমিক্যাল ছিল বলে জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার আলী রেজা হায়দার জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মেসার্স এয়াকুব ট্রেডার্স ৫ লাখ ২০ হাজার টাকায় চালানটি কিনেছে। একইসঙ্গে ১৩ শতাংশ ভ্যাটও পরিশোধ করবে প্রতিষ্ঠানটি। আজই হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের চালানটি খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।
কাস্টম সূত্র জানায়, চার বছর আগে গাজীপুরের কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেড নামের একটি নিট গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান তুরস্ক থেকে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের চালানটি আমদানি করে। বন্দরে আসার পর প্রতিষ্ঠানটি সেগুলো খালাস করেনি। এরপর থেকে দুই কনটেইনারের চালানটি বন্দরের চত্বরে পড়ে আছে। চালানটির সংরক্ষিত দাম ধরা হয়েছে ২৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
শনিবার দিনগত রাত আনুমানিক পৌনে ১১টার দিকে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন সোমবার (৬ জুন) বিকেলে ৫টা পর্যন্তও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করছে রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে আহত চার শতাধিক মানুষের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দা, ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
ভয়াবহ এ বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধান এবং সুষ্ঠু তদন্তে পৃথক কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স।
ইকবাল হোসেন/এমকেআর/এএসএম