বঙ্গোপসাগরে কেমিক্যাল ছড়ানোর সংবাদ সত্য নয়: ডিসি
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৭:০৩ পিএম, ০৫ জুন ২০২২
কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ থেকে বঙ্গোপসাগরে কেমিক্যাল ছড়িয়ে পড়ার সংবাদ সত্য নয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আছেন, তারা সার্ভে করছেন। যে খাল দিয়ে পানি সাগরে যায় সেটি বন্ধ করে দিয়েছেন তারা।
রোববার (৫ জুন) বিকেলে তিনি গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৫ জন নিহত ও ১৬৩ জন আহত হয়েছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার ও আহতদের ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।
আহতদের মধ্যে আটজনকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী।
এর মধ্যে সেসব মরদেহ শনাক্ত করা গেছে সেগুলোর মধ্যে কয়েকজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে রোববার (৫ জুন) বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, এখানে দুটি ড্রেন ছিল, যা বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত। এই ড্রেন দিয়ে কেমিক্যাল চলে যাওয়ার ঝুঁকি ছিল, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের ইঞ্জিনিয়ার টিম ড্রেনগুলো ব্লক করে দিয়েছে এবং ড্রেন দিয়ে কেমিক্যাল যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এর আগে শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় রাসায়নিক থাকা একটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে চার শতাধিক মানুষ আহত হন। তাদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন।
রাতেই আহতদের অধিকাংশকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এছাড়া চট্টগ্রামের অন্যান্য হাসপাতালেও অনেককে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে ফায়া সার্ভিসের আট কর্মীও রয়েছেন।
এছাড়া রোববার (৫ জুন) সকালেও বিস্ফোরণস্থল থেকে কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি দল। তবে ১৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
ইকবাল হোসেন/ইএ/জেআইএম