‘বিসিএস বিশ্ববিদ্যালয়’ নামের প্রস্তাব মজা করে বললেও বাস্তবতা আছে

সায়েম সাবু
সায়েম সাবু সায়েম সাবু , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫০ পিএম, ০৩ জুন ২০২২

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। জন্ম ১৯৫১ সাল। শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ ও সমাজ বিশ্লেষক। বেসরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের চেয়ারম্যান। ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দায়িত্ব পালন করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শিক্ষা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার। বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, যুক্তরাজ্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ, ডেনিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, সুইডিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা, টেকসই উন্নয়ন কমিশন, অ্যাকশন এইড, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সংস্থার পরামর্শদাতা হিসেবে সামলেছেন দায়িত্ব। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পিপিআরসিরও নির্বাহী প্রধান তিনি।

বৈশ্বিক সংকট, দেশে দেশে খাদ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা, বাংলাদেশ পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে করণীয় প্রসঙ্গে মুখোমুখি হন জাগো নিউজের। দুই পর্বের সাক্ষাৎকারের আজ থাকছে দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাগো নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সায়েম সাবু।

প্রথম পর্ব পড়ুন এখানে

জাগো নিউজ: আপনারা উন্নয়ন প্রকল্পের সমালোচনা করছেন, অপচয় হচ্ছে বলে সমালোচনা করছেন। কিন্তু দেশ তো এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে, উন্নয়ন নিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করছে।

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান: সমালোচনার জন্য সমালোচনা করা কাম্য নয়। আমি সেটা করতে চাইও না। সমস্যা হচ্ছে সরকার উন্নয়ন নিয়ে একমাত্রিক ধারণা তৈরি করেছে। উন্নয়ন বলতে বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণকেই প্রতিষ্ঠা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বড় প্রকল্প আর উন্নয়ন সমার্থক হয়ে গেছে। কিন্তু উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় যে সংস্কার করা দরকার, তা আর হয় না। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইও করা হয় না। কোনো নিয়মও মানা হয় না।

সরকার উন্নয়নের নিজস্ব ধারণা সৃষ্টি করে নিজেই ফাঁদে পড়েছে। এই ধারণা থেকে বের হতে পারছে না বলেই অপচয়, দুর্নীতি অবারিত হচ্ছে। উন্নয়ন নিয়ে যে দক্ষতা বাড়ার কথা, তাও হচ্ছে না। দক্ষতা বাড়ছে না বলেই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের হারও বাড়ছে না। এই হার স্থবির হয়ে আছে বছরের পর বছর ধরে।

জাগো নিউজ: এই ফাঁদ থেকে বের হওয়ার....

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান: এই ফাঁদ থেকে বের হওয়ার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার খুবই জরুরি। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রয়োজন সর্বক্ষেত্রেই। উন্নয়নের একমাত্রিক ধারণার মধ্যে আটকে থাকা আর প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করতে পারা স্ববিরোধী অবস্থান বলে মনে করি। এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া মুশকিল আছে।

জাগো নিউজ: মুশকিলটা আসলে কোন পক্ষ থেকে? সরকার না আমলারা?

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান: বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি আমলারাই করেন। কিন্তু বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের হার তো বাড়াতে পারছেন না। কিন্তু আমলাদের খবরদারির জায়গাটা অব্যাহতভাবে বাড়ছে।

আপনি দেখেন, আমলারা পৌরসভাগুলোর নিয়ন্ত্রণেও খবরদারি করার উদ্যোগ নিয়েছে। দক্ষতার ভিত্তিতে খবরদারি করতেই পারেন। কিন্তু সেই দক্ষতা তো তারা দেখাতে পারেননি।

জাগো নিউজ: ঢালাওভাবে অদক্ষতার বিচার করা যায়?

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান: অবশ্যই না। কিছু আমলা তো ভালো করছেন। কোনো কোনো মন্ত্রণালয় দক্ষতা কিছুটা দেখাতে পারছে। কিন্তু সে সংখ্যা খুবই কম। আপনাকে সার্বিক পরিসংখ্যান থেকেই বিচার করতে হবে।

ডিগ্রি বা শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়ে আপনি দক্ষতার মাপকাঠি করতে পারেন একভাবে। কিন্তু দক্ষতার আসল মাপকাঠি হচ্ছে আপনাকে দেওয়া কাজটি সঠিকভাবে করতে পারলেন কি না? আপনি যদি দক্ষতা নিরূপণের সূচকগুলো দেখেন, দেখবেন বছরের পর বছর ধরে হেরফের হচ্ছে না। ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ হার বাড়ছে না। বেকারত্ব কমছে না। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা তো আগেই বললাম। এই সূচকগুলো তো চোখের সামনে। সরকার খরচ করছে লাখ লাখ কোটি টাকা। কিন্তু ফলাফল কী, এটি ভাবতে হবে। পত্রিকায় দেখলাম, একটি বিশ্ববিদ্যালয় করতে ১০ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেই বরাদ্দ নিয়ে ভয়াবহ রকমের প্রশ্ন তোলা যায়। সরকার স্ব-আরোপিত কিছু ফাঁদে পড়ে গেছে।

জাগো নিউজ: উন্নয়ন ফাঁদের কথা বলেছেন। আর কোন ফাঁদের কথা বলবেন?

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান: প্রথমত উন্নয়নের ফাঁদের কথা উল্লেখ করছি। দ্বিতীয়ত, সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আমলাতন্ত্রকে অধিক রাজনৈতিক শক্তি দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বিশেষ এক সংকেত চলে গেছে সমাজে। বিশেষ করে শিক্ষিত যুবকরা নির্বিচারে আমলাতন্ত্রের দিকে ঝুঁকছে। সরকার আমলাতন্ত্রকে চাকরির বাজারে সর্বোচ্চ চাওয়ার জায়গায় রূপ দিয়েছে।

আমলাদের জন্য সরকার সুযোগ-সুবিধা অবারিত করেছে। এই সুযোগ তরুণরা কোনোভাবেই আর হাতছাড়া করতে চাইছে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সমাজ, পরিবার সবাই এখন এই আমলাতন্ত্রের পিছে ছুটছে।

বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘বিসিএস বিশ্ববিদ্যালয়’ নাম দেওয়ার প্রস্তাব করে সামাজিক মাধ্যমে অনেকে মজা করছে। মজা করে বললেও বাস্তবতা আছে। শিক্ষার্থীরা আর ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, গবেষক হতে চাইছে না। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে বিসিএস পরীক্ষা দিচ্ছে। সবাই এখানে মজা পাচ্ছে। চাকরির ক্ষেত্রে মানুষের স্বাধীনতা থাকতেই পারে। কিন্তু এভাবে ঝুঁকে পড়াটা এক ধরনের সংকেত। অন্য পেশার তুলনায় বিসিএস চাকরিটা মহামূল্যবান করে তোলা হয়েছে। রাষ্ট্র, সমাজের জন্য নিঃসন্দেহে এটি একটি ফাঁদ। এতে মানবসম্পদ তৈরির জায়গাটা দিন দিন সংকোচিত হচ্ছে।

আর যারা এই বিসিএস-এর চাকরি করতে চায় না, তারা বাইরে চলে যাচ্ছে। বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে হয়তো পাঁচ লাখ। চাকরি মিলছে পাঁচ হাজারের। বাকিদের কী হবে?

তৃতীয়ত, আরেকটি স্ব-আরোপিত ফাঁদ হচ্ছে, সরকার সমাজের সব সামাজিক পুঁজি অবস করে ফেলছে। প্রতীকের মাধ্যমে স্থানীয় নির্বাচন স্থানীয় সরকারে সাংঘাতিক রকমের বিপর্যয় ডেকে এনেছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে গ্রামগুলোতে সামাজিক সংহতির জায়গা প্রায় ভেঙে পড়েছে। আপনি আর একত্রিত হওয়ার সামাজিক পুঁজি খুঁজে পাবেন না। জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণ আমলাদের কাছে। ইউনিয়ন পরিষদে বহু মতের সৌন্দর্য নেই। তার মানে ক্ষতটা সব জায়গায়ই।

একমাত্রিক উন্নয়ন দর্শন, সামাজিক শক্তির বিনাশ আর অদক্ষ আমলাতান্ত্রিকতা- এই তিন ফাঁদ চলমান সংকট আরও বাড়িয়ে তুলছে বলে মনে করি।

জাগো নিউজ: এগুলো কী ধরনের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করছে?

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান: এর খেসারত তো দিতেই হচ্ছে। যে বাজারে পণ্য কিনতে যাচ্ছে, তাকে খেসারত দিতে হচ্ছে। যে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে চাইছে, খেসারত তাকে দিতে হচ্ছে।

জাগো নিউজ: এরপরও মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে....

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান: বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ যে, শত বাধা অতিক্রম করেই মানুষ এগিয়ে যায়। নিজের ফলানো ফসল অন্যের ঘরে যায়। নিজের ঘরে আসে না। এরপরও মানুষ দমে যায় না।

প্রশ্ন হচ্ছে, দু’মুঠো ভাত-ই কি এখন চাওয়ার জায়গা? না। মানুষ উন্নততর জীবন চায়। এই প্রশ্নে মানুষকে খেসারত দিতে হচ্ছে। উন্নততর জীবনের নিশ্চিয়তা নেই বলেই যুবকরা বিদেশে চলে যাচ্ছে। মেধা চলে যাচ্ছে।

আরেকটি প্রভাব পড়ছে, সমাজে অসহিষ্ণুতা চরমে। প্রতিটি স্তরে মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছে। এর প্রভাব ব্যক্তিগত, সামাজিক, পারিবারিক পর্যায়েও। কেউ কাউকে সহ্য করতে পারছে না। অন্যের মতকে সম্মান করছে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সেই বন্ধন আর নেই। এই পরিস্থিতির মূল্য কাউকে না কেউকে তো দিতে হচ্ছে।

জাগো নিউজ: সংকটের জন্য শুধুই কি সরকার দায়ী? ব্যক্তি, সমাজেরও তো দায় থাকে?

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান: অবশ্যই। ব্যক্তি, সমাজের দায়টাই আগে। কিন্তু মানুষ নির্লিপ্তভাবে তার দায়িত্ব ভুলে যাচ্ছে। চরম মাত্রায় মোসাহেবি, কুপমণ্ডুকতায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে। এর ফলে সুষ্ঠু চিন্তা বা নির্ভরযোগ্য জায়গাগুলোর ঘাটতি পড়ে গেছে। যেমন- মানুষ আর ছাত্ররাজনীতির ওপর বিশ্বাস করে না। সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিকাশগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো আরও নষ্ট করে দিয়েছে। সুষ্ঠু চিন্তা বা নেতৃত্বের বিকাশ আর ঘটছে না আপাতত।

এরপরেও আমি এদেশের মানুষের মানসিকতার ওপর ভরসা রাখি। শত বিপদের মধ্যেও তারা কীভাবে এগোতে পারে তা দেখে আসছি যুগ যুগ ধরে। সাধারণ মানুষের এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতাই এ জাতির রক্ষাকবচ। এই মনোবল অন্য জায়গায় দেখতে পাবেন না।

জাগো নিউজ: এমন মনোবল থাকার পরেও পরিবর্তন হচ্ছে না।

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান: মনোবল থাকলেই যে পরিবর্তন হবে, তার নিশ্চয়তা নেই। সম্ভাবনা অন্তত জাগ্রত আছে। এই সম্ভাবনা থাকলে পরিবর্তন যে কোনোদিন আসবেই। অন্তত উন্নততর জীবনের যে আকাঙ্ক্ষা, তার জন্য স্বপ্নগুলো বেঁচে থাকুক।

জাগো নিউজ: ব্যর্থ রাষ্ট্রে রূপ নিচ্ছে শ্রীলঙ্কা। অনেকেই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করে বলছে, অন্তত এমন সংকট এখানে নেই। আবার কেউ কেউ বলছে, শ্রীলঙ্কার পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ। আপনি কী বলবেন?

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান: শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করে যে আলোচনা হয়েছে, তা অতিরঞ্জিত বলে বিশ্বাস করি। শ্রীলঙ্কার সুনির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য ছিল। তার কিছু হয়তো বাংলাদেশের সঙ্গেও মিল আছে। বিশেষ করে স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের বিস্তার ও অপরিকল্পিত উন্নয়নের মিল রয়েছে।

জাগো নিউজ: তাহলে অতিরঞ্জিত বলছেন কেন?

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান: উল্লেখিত দুটি সূচকের বাইরে শ্রীলঙ্কার অনেক সূচকের সঙ্গেই বাংলাদেশের মিল নেই। অনেকগুলো ভুল নীতি গ্রহণ করেছে শ্রীলঙ্কা। দুর্নীতি আর নীতির ভুলের মধ্যে পার্থক্য আছে। যেমন- হঠাৎ করে রাসায়নিক সার বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণে কৃষিতে তাদের ধস নেমেছে। রাজস্ব আদায়ের হার কমিয়ে দিলো। অনেকগুলো ছোট ছোট সংকট তৈরি হয়েছিল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর তা আরও ব্যাপকতা লাভ করতে থাকলো। এই সংকট মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থ পদক্ষেপের কারণে মানুষের ধৈর্যের সীমা ভেঙে গেলো।

বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার পথে হাঁটবে না, তা বলে আসলে কোনো লাভ নেই। বাংলাদেশ কোন দিকে যাচ্ছে সেটাই দেখা জরুরি।

আমাদের তো হওয়ার কথা ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার মতো। ১৯৭২ সালে আমাদের আর দক্ষিণ কোরিয়ার মাথাপিছু আয় একই ছিল। তারা কোথায়, আমরা কোথায়! উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায় অনেকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশ পড়ে আছে, যাদের কোনো অগ্রগতি নেই। ফিলিপাইন এক্ষেত্রে একটি নেতিবাচক উদাহরণ।

জাগো নিউজ: আশার বাণী কী শোনাবেন?

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান: শ্রীলঙ্কার সংকট আর আমাদের সংকট আলাদা। তুলনা করে আলোচনা করাটা মুখ্য বিষয় নয়। মুখ্য বিষয় হওয়া উচিত কীভাবে আমরা আমাদের সংকট মোকাবিলা করতে পারি।

সময়ই বলে দেবে আমরা আসলে কোথায় যাবো। ঋণ তো আমরাও নিয়েছি। অনেক সূচকে আমরা বিপজ্জনক অবস্থানেও রয়েছি। আমাদের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করতে হবে। মেধা যেন পাচার হয়ে না যায়, তাতে গুরুত্ব দিতে হবে। তরুণরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ঠিক করবে বলে বিশ্বাস করি। গোষ্ঠীতন্ত্রের প্রাচুর্য আর অব্যাহত প্রতাপের বিপরীতে গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই মুক্তি। একমাত্রিক উন্নয়ন দর্শনকে পরিসংখ্যান দিয়ে শক্তিশালী ভিন্ন কৌশলী চিন্তা দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। একই সঙ্গে প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্ব ও মূল্যবোধ নিয়ে সচেতন হতে হবে।

এএসএস/এএসএ/এএসএম

একটি বিশ্ববিদ্যালয় করতে ১০ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেই বরাদ্দ নিয়ে ভয়াবহ রকমের প্রশ্ন তোলা যায়। সরকার স্ব-আরোপিত কিছু ফাঁদে পড়ে গেছে

বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘বিসিএস বিশ্ববিদ্যালয়’ নাম দেওয়ার প্রস্তাব করে সামাজিক মাধ্যমে অনেকে মজা করছে। মজা করে বললেও বাস্তবতা আছে। শিক্ষার্থীরা আর ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, গবেষক হতে চাইছে না। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে বিসিএস পরীক্ষা দিচ্ছে

আমি এদেশের মানুষের মানসিকতার ওপর ভরসা রাখি। শত বিপদের মধ্যেও তারা কীভাবে এগোতে পারে তা দেখে আসছি যুগ যুগ ধরে। সাধারণ মানুষের এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতাই এ জাতির রক্ষাকবচ। এই মনোবল অন্য জায়গায় দেখতে পাবেন না

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।