নাগেশ্বরীতে ১২ হাজার মুরগির মৃত্যু : আতঙ্কে খামারিরা


প্রকাশিত: ০১:৪৬ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০১৬

কয়েক দিনের তীব্র ঠাণ্ডায় কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গত এক সপ্তাহে অন্তত ১২ হাজার ব্রয়লার মুরগি মারা গেছে। ঠাণ্ডাজনিত গামব্রো এবং রাণীক্ষেত রোগে এসব মুরগির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও প্রতিদিন মারা যাচ্ছে মুরগি। এ কারণে চরম লোকসানের শিকার হচ্ছে খামারিরা।

এদিকে অব্যাহত মুরগির মৃত্যুর কারণে এলাকায় মাইকিং করে অর্ধেক দামে মুরগি বিক্রি করছে খামারিরা।

নাগেশ্বরীতে বাণিজ্যিকভাবে ব্রয়লার মুরগি পালন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উপজেলায় প্রায় ৩শ খামার গড়ে উঠেছে। গড়ে উঠেছে শতাধিক ব্রয়লার সামগ্রীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে গত এক সপ্তাহ ধরে নাগেশ্বরীতে দেখা দিয়েছে তীব্র ঠাণ্ডা। দিনভর পড়ছে কুয়াশা। দিনে রাতে ঠাণ্ডার মাত্রা প্রায় একই রকম থাকছে। ঠাণ্ডায় সব বয়সী ব্রয়লার মুরগি গামব্রো ও রাণীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিটি খামারে ৫০ থেকে শতাধিক মুরগী মারা যাচ্ছে। এতে অন্তত ১২ হাজার মুরগি মারা গেছে এক সপ্তাহে।

উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের চণ্ডিপুর গ্রামের খামারি মনিরুজ্জামান, ফারুক হোসেন ও নেওয়াশী গ্রামের মেছের আলী বলেন, ভালোই চলছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনের ঠাণ্ডায় মুরগি প্রায় মরা শেষ। বয়স হওয়ার আগেই মাইকিং করে বিক্রি করা হচ্ছে অর্ধেক দামে। এদিক খামারে অতিরিক্ত তাপ সৃষ্টি করতে অতিরিক্ত ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক বাল্প জ্বালানোর পরও ঠাণ্ডা কমছেনা। কমছেনা রোগের প্রকোপ।

বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তেলিয়ানিরপাড় গ্রামের মমিন মিয়া বলেন চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনোভাবে ঠাণ্ডারোধ করা যাচ্ছেনা। আগামীতে মনে হয় ব্যবসা থাকবেনা।

পৌরসভা এলাকার হাসেম বাজার গ্রামের জহুরুল হক, পীরবাড়ী গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতি কেজি মুরগিতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা খরচ হয়। বিক্রি হয় ১২০/১৩০ টাকা। রোগের কারণে ৭০-৮০ টাকায় মাইকিং করে বিক্রি করতে হচ্ছে।

নাগেশ্বরী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদের বলেন, অতিরিক্তি ঠাণ্ডা পড়ায় এসব রোগ দেয়া দিয়েছে। খামারে অতিরিক্ত তাপ সম্পন্ন ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক বাল্পের সাহায্যে তাপ বাড়ানোর পরামর্শসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

নাজমুল হোসেন/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।