ফুটবলই যেখানে বেঁচে থাকার রসদ


প্রকাশিত: ১২:৫২ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০১৬

সাত মহাদেশ ভ্রমণ, সঙ্গে ফুটবল নিয়ে ব্যাপক তথ্যসমৃ্দ্ধ একটি তথ্যচিত্র বানানোর খবর যখন ঘোষণা করেছিলেন ডেভিড বেকহ্যাম, তখন যেন অনেকেই হেসে কুটি কুটি। এতবড় দুরহ কাজটা কিভাবে করবেন, তা নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছিলেন; কিন্তু, ‘পাছে লোকে কিছু বলে’- টাইপের মানুষ ডেভিড বেকহ্যাম। চ্যালেঞ্জটা নিলেন তিনি এবং সঙ্গে থাকলো বিবিসি। কিছুদিন আগেই শেষ করেছেন সাত মহাদেশ ঘুরে, সাতটি ফুটবল ম্যাচ খেলে তথ্য সংগ্রহের কাজ। সেই সফর নিয়ে সংগৃহিত তথ্যগুলোকে একের পর এক জুড়ে দিয়ে তৈরী করবেন তথ্যচিত্র৷ বিশ্বজুড়ে ফুটবল খেলাটা মানুষের মাঝে কেমন প্রভাব বিস্তার করছে, সাধারণ মানুষের জীবনের একটা অংশ হিসেবে কিভাবে জড়িত হয়ে গেছে ফুটবল- এ বিষয়টা তুলে আনাই যেন মূল কাজ ছিল বেকহ্যামের কাজ।

David-Beckham
নিজের কাজে পুরোপুরি সফল সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক। বিশ্বব্যাপি ঘুরেছেন। সাতটি মহাদেশের বিভিন্ন দুর্গত অঞ্চল সফর করেছেন। মিশেছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। তাদের কাছ থেকে শুনেছেন জীবনের গল্প। জানতে চেয়েছেন, ফুটবল তাদের জীবনে কী প্রভাব ফেলে? যেখানে গায়ানার মানুষের সঙ্গে আলাপ, নেপালে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মানুষের সঙ্গে পরিচয়, আফ্রিকার উদ্বাস্তু বস্তি- সব ঘুরে দেখেছিলেন তিনি৷

David-Beckham
আর বুঝেছিলেন, পরিস্থিতি যতটা ভয়ঙ্করই হোক, শোক-দুঃখ, সব ভুলিয়ে দিতে পারে একমাত্র ফুটবল। এই খেলাটার প্রতি মানুষের আবেগ। তথ্যচিত্র এখনও বের হয়নি। তবে সেই অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বেকহ্যাম বলেন, ‘তথ্যচিত্রটি বানাতে গিয়ে মনে হয়েছে, এ ঘটনা সাধারণ মানুষের হৃদয় অবশ্যই ছুঁয়ে যাবে। যেখানে বেঁচে থাকাটাই কঠিন, সেখানে ফুটবল কীভাবে হাসি ফিরিয়ে আনে আতঙ্কের মাঝে বেঁচে থাকা মানুষগুলোর মুখে! সেটা ওই সফরে বুঝেছিলাম। এ এক দুর্দান্ত সফর। আমি নিজের জীবনের সেই অভিজ্ঞতা, সেই ভাললাগাই তুলে ধরেছি তথ্যচিত্রে। ফুটবলই পারে মানুষকে প্রেরণা দিতে। নতুন করে বেঁচে থাকার রসদ জোগাতে।’

আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।