অবশেষে এক সেঞ্চুরি জেতাল ভারতকে


প্রকাশিত: ১১:৩৮ এএম, ২৩ জানুয়ারি ২০১৬

সিরিজজুড়ে সেঞ্চুরির বন্যা। একের পর এক ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করে আর একের পর এক হারের লজ্জায় ডোবে ভারত। তবে এবার আর মানিষ পান্ডের সেঞ্চুরি বৃথা গেলো না। তার সেঞ্চুরিতেই অস্ট্রেলিয়ার ৩৩০ রানের বিশাল স্কোর টপকে ৬ উইকেটে স্বান্তনার জয় তুলে নিল ভারত।

বৃথা গেলো অস্ট্রেলিয়ার জোড়া সেঞ্চুরি। ডেভিড ওয়ার্নার আর মিচেল মার্শের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৩০ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তোলে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ১২৩ রান তুলে ফেলে রোহিত শর্মা আর শিখর ধাওয়ান।

তবে আজ শুরুর দিকে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা যেন সতর্কই ছিল, সেঞ্চুরি যাতে না হয়। সে কারণে দেখা গেলো ৭৮ রানে আউট হয়েছেন শিখর ধাওয়ান। ৯৯ রানে গিয়ে আউট হয়েছেন রোহিত শর্মা। তবে, ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটাকে আর মিস করতে চাইলেন না মানিষ পান্ডে। এবং তার এই সেঞ্চুরিই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে চলতি সিরিজে প্রধম জয়ের পথ দেখালো ভারতকে।

প্রথম দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন রোহিত শর্মা। তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি। চতুর্থ ম্যাচে আরও এক সেঞ্চুরিয়ান ছিলেন, শিখর ধাওয়ান। এতগুলো সেঞ্চুরি সত্ত্বেও জয় এলো না ভারতের ঘরে। বরং, দেখা গেলো, ভারতের জোড়া সেঞ্চুরির দিনে, অস্ট্রেলিয়ার একটি সেঞ্চুরিও জয় উপহার দিল স্বাগতিকদের।

এবার ঘটলো উল্টো ঘটনা। সিডনিতে জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা। আর একটি সেঞ্চুরি করে বিজয়ীর কাতারে নাম লিখিয়ে নিল ভারত। শেষ ম্যাচে এই জয়ের ফলে নিশ্চিত, অনেক বড় সমালোচনা থেকে বেঁছে গেলো ভারত এবং অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি।

ডেভিড ওয়ার্নার আর মিচেল মার্শের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৩০ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে, শুরু থেকেই বড় স্কোরের পেছনে ছুটতে শুরু করে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। দুই ওপেনারই গড়ে দেন জয়ের ভিত। রোহিত ৯৯ এবং ধাওয়ান ৭৮ রান করে আউট হলেও, মানিশ পান্ডে আর মহেন্দ্র সিং ধোনি মিলে জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু অনায়াসে করে দেন। মাঝে বিরাট কোহলি মাত্র ৮ রান করে আউট হয়ে যান।

Rohit-Sorma
৮১ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে ১০৪ রানে অপরাজিত থাকেন মানিশ পান্ডে। ধোনি ভারতকে জয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে এসে আউট হন ৩৪ রান করে। তবুও শেষ পর্যন্ত মাত্র ২ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

শেষ ওভারটাই নাটক বেশ জমে উঠেছিল। শেষ ৬ বলে প্রয়োজন ১৩ রান। উইকেটে দুই সেট ব্যাটসম্যান ধোনি এবং পান্ডে। সবচেয়ে বড় কথা নতুন ব্যাটসম্যান পান্ডে একেবারে দাঁড়িয়ে নার্ভাস নাইনটিজের সামনে। এ পরিস্থিতিতে স্নায়ু ধরে রাখাও বেশ কঠিন।

বোলার ছিলেন মিশেল মার্শ। প্রথম বলই দিলেন ওয়াইড। পরের বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে বসলেন ধোনি। ম্যাচ আরও নাটকীয়ভাবে জমে উঠলো। নাটকের তখনও বাকি। ওভারের দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে গেলেন ধোনি। ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ভারত অধিনায়ক। ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণের ভার চলে আসে পান্ডের হাতে। ৯৮ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন তিনি তখন।

কিন্তু ভয় পেলেন না ভারতের আইপিএল প্রোডাক্ট মানিশ পান্ডে। তৃতীয় বলেই মিচেল মার্শকে বাউন্ডারি ছাড়া করলেন। জয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে শুধু দলকে নিয়েই এলেন না, নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটাও পূরণ করে ফেলেন তিনি। এরপরের বলেই নিয়ে নিলেন ২ রান। বিজয়ী রান নিয়েই আনন্দে লাফিয়ে উঠলেন মানিশ। বিশ্বকাপই যেন জয় করে ফেলেছেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে ৩ উইকেট নেন জন হাস্টিংস এবং বাকি উইকেটটি নেন মিচেল মার্শ। দুর্দান্ত সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন মানিশ পান্ডে।

আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।