এক দশকে দুগ্ধ উৎপাদন বেড়েছে ৫ গুণেরও বেশি

ইসমাইল হোসাইন রাসেল
ইসমাইল হোসাইন রাসেল ইসমাইল হোসাইন রাসেল
প্রকাশিত: ১০:৫৫ এএম, ০১ জুন ২০২২
ফাইল ছবি

প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে ধারাবাহিক অগ্রগতিতে গোটা বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছে বাংলাদেশ। তবে দুধ উৎপাদনে দেশজ চাহিদা পূরণ সম্ভব না হলেও বিগত এক দশকে উৎপাদন বেড়েছে পাঁচগুণেরও বেশি। এসময়ে দৈনিক জনপ্রতি দুধের চাহিদাও বেড়েছে প্রায় সাড়ে চারগুণ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বের ৪০ শতাংশ দুধ উৎপাদন হয় এশিয়া মহাদেশে। এর মধ্যে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দুধ উৎপাদনকারী দেশ ভারত। এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, পাকিস্তান, ব্রাজিল ও রাশিয়া। তবে এ তালিকায় উল্লেখযোগ্য কোনো অবস্থান নেই বাংলাদেশের।

তথ্য বলছে, স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালে দেশে দুধের বার্ষিক উৎপাদন ছিল ১০ লাখ মেট্রিক টন। ১৯৮০ সালে তা বেড়ে ১১ দশমিক ৬ লাখ মেট্রিক টন, ১৯৯০ সালে ১৫ দশমিক ৯ লাখ মেট্রিক টন, ২০০০ সালে ১৭ লাখ মেট্রিক টনে পৌঁছায়। এর এক দশক পর ২০১০ সালে তা আরও বেড়ে হয় ২৩ দশমিক ৭০ লাখ মেট্রিক টন। সে হিসাবে পাঁচগুণেরও বেশি বেড়ে বর্তমানে দুধের বার্ষিক উৎপাদন ১১৯ দশমিক ৮০ লাখ মেট্রিক টন।

jagonews24

বাংলাদেশে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৫২ দশমিক ২ লাখ মেট্রিক টন দুধের চাহিদা থাকলেও উৎপাদন হয়েছে ১০৬ দশমিক ৮০ লাখ মেট্রিক টন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৫৪ দশমিক ৯৪ লাখ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন ছিল ১১৯ দশমিক ৮৫ লাখ মেট্রিক টন। দেশে প্রতিদিন জনপ্রতি দুধের চাহিদা ২৫০ মিলিগ্রাম হলেও উৎপাদন হচ্ছে ১৯৩ দশমিক ৩৮ মিলিগ্রাম। ফলে প্রতিদিন মাথাপিছু দুধের ঘাটতি ৫৬ দশমিক ৬২ গ্রাম। এক দশক আগে ২০১০ সালে দৈনিক মাথাপিছু ৪৩ দশমিক ৯৯ গ্রাম দুধের চাহিদা থাকলেও বর্তমানে তা প্রায় সাড়ে চারগুণ বেড়ে ১৯৩ দশমিক ৩৮ গ্রাম হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, দুধের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করতে গবাদি পশুর জাত উন্নয়ন, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার ব্যবস্থা জোরদারকরণ, দুগ্ধজাত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরণসহ স্কুলফিডিং-এর মাধ্যমে দুধপানের অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশকে দুগ্ধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েছে। দেশের ডেইরি শিল্পের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে (৪২৮০ কোটি টাকা) ‘প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প’র মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, মার্কেট লিংকেজ, ভ্যালু চেইন উন্নয়ন, পশুবিমা চালুকরণ এবং দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যের ভোক্তা সৃষ্টির কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে।

এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা জাগো নিউজকে বলেন, আমরা চাই খামারিরা যেন নিশ্চিত হতে পারে তাদের উৎপাদিত দুধ তারা নিজেরাই বিক্রি করতে পারবে। সে সুযোগ তৈরি হলে কিন্তু খামারিরা উৎপাদনও বাড়াবে। উৎপাদিত দুধ যদি সহজে ও ন্যায্য দামে বেচতে না পারে তখন তো তারা উৎপাদনে আগ্রহ হারায়। সেজন্য আমরা পাঁচ হাজার পাঁচশোটি গ্রুপ তৈরি করেছি, যার মাধ্যমে আমাদের এ প্রক্রিয়া শুরু হবে।

jagonews24

তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে দুধের যে পরিমাণ দেশজ চাহিদা আগামী দিনে তা আরও বাড়বে। আমরা এখনকার চাহিদার ভিত্তিতে কাজ করছি না। আমরা কাজ করছি ভবিষ্যতেকে কেন্দ্র করে। দুধ পাওয়া যায় না, এমন পরিস্থিতি তো আমাদের সৃষ্টি হয়নি। ক্রয়ক্ষমতা বাড়ায় ক্রেতা বাড়ছে, মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সামনের দিনগুলোর কথা মাথায় রেখেই আমরা কাজ করছি।

প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পে (এলডিডিপি) যা থাকছে
বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পটি একটি বৃহৎ প্রকল্প, যার মোট বিনিয়োগ ৪ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। প্রকল্পটিতে বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগ ৫০০ মিলিয়ন মাকিন ডলার, যা প্রাণিসম্পদ সেক্টরে একটি সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ। জানুয়ারি ২০১৯ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত পাঁছ বছর মেয়াদি প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশে দুধ ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি, গাভী ও ষাঁড়, ছাগল ও ভেড়া, হাঁস-মুরগির উৎপাদনদক্ষতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি প্রদর্শনীর মাধ্যমে খামারিদের দক্ষতা উন্নয়ন, দুগ্ধ বিপণনের জন্য বাজার সংযোগ, পণ্য বহুমুখীকরণ, মূল্য সংযোজন, স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রাণিজাত আমিষের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি ফুড সেফটি নিশ্চিতকরণে উৎপাদনকারী, পরিবহনকারী, ব্যবসায়ী, কারিগর, ভোক্তা সব স্তরে সচেতনতা বাড়ানো এবং এতদসংক্রান্ত প্রোটোকল/নীতি প্রণয়ন ও অনুসরণ করা হবে।

এছাড়াও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩০০টি ভিলেজ মিল্ক কালেকশন সেন্টার স্থাপন, আঞ্চলিক পর্যায়ে ২০টি ডেইরি হাব স্থাপন, পশু জবাই ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের জন্য মেট্রো পর্যায়ে ৩টি আধুনিক মানের স্লটার হাউজ নির্মাণ, জেলা পর্যায়ে ২০টি স্লটার হাউজ নির্মাণ ও উপজেলা/গ্রোথ সেন্টার পর্যায়ে ১৯২টি স্লটার স্লাব/মাংসের বাজার উন্নয়ন, খামারের বর্জ্য তথা গোবর দিয়ে বিকল্প জ্বালানি ও বায়ো ফাটিলাইজার উৎপাদন ও বিপণনের লক্ষ্যে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপন, ভেটেরিনারি সেবা আরও বেগবান করা ও মান উন্নয়নের জন্য উপজেলা পর্যায়ে মিনি ডায়াগনোস্টিক ল্যাব স্থাপন, মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক পরিচালনা, ভোক্তা সৃষ্টি ও পুষ্টি সচেতনতা বাড়ানোর জন্য পাইলট আকারে স্কুল মিল্ক কর্মসূচি পরিচালনা, পাইলট আকারে প্রাণিসম্পদ বীমা ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করাই প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য।

jagonews24

প্রকল্প এলাকায় প্রযুক্তি সম্প্রসারণ সেবা খামারির দোরগোড়ায় পৌছেঁ দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে লাইভস্টক সাভিস প্রোভাইডার (৪২০০ জন), উপজেলা পর্যায়ে লাইভস্টক ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট (৯৩০ জন) এবং প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকতা (৪৬৫ জন) নিযুক্ত রয়েছেন, যা প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছে। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন তদারকি ও রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ২০ জন মনিটরিং অফিসার ও তিনজন সহকারী প্রকৌশলী কর্মরত রয়েছেন।

এলডিডিপি’র চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রাব্বানী জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের এ প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এর মাধ্যমে দুধের উৎপাদন বাড়বে এবং গুণাগুণ বাড়বে। দিনশেষে আমরা ভোক্তাদের পুষ্টি নিশ্চয়তা দিতে চাই এবং তাদের সচেতনতা বাড়াতে চাই। বর্তমানে প্রতিদিন জনপ্রতি ২৫০ মিলিগ্রাম দুধের চাহিদা রয়েছে, আমরা দুই-তৃতীয়াংশ চাহিদা পূরণ করতে পারছি। সব মানুষ প্রতিদিন দুধ পান করেন না। সবাই যেন নিয়মিত দুধ পান করেন তা নিশ্চিত করতে আমাদের কিছু করণীয় আছে। সেজন্য আমরা স্কুলের বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোকে প্রমোট করছি, শুরুটা করতে হবে ছোটবেলা থেকেই। বিশ্বে দুধ উৎপাদনের কম্পিটিশনে বাংলাদেশ এখনো নেই। উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো অবস্থানও আমাদের নেই। তবে এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোতে দুধের উৎপাদন বাড়বে, গ্লোবাল অ্যানালাইসিস তা-ই বলে।

ডেইরি আইকন সেলিব্রেশন
প্রতি বছরের মতো এবারও ১ জুন সারাদেশে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন হচ্ছে। দিবসটিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ইতিহাসে এই প্রথম সরকার প্রাণিসম্পদ খাতের উদ্যোক্তাদের মাঝ থেকে পূর্বনির্ধারিত মানদণ্ডের ভিত্তিতে বিশিষ্ট উদ্যোক্তাদের ডেইরি আইকন-২০২১ হিসেবে পুরস্কৃত করতে যাচ্ছে। চারটি ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৪০ জন উদ্যোক্তা এ পুরস্কার পাবেন। প্রতিটি পুরস্কারের মূল্যমান এক লাখ টাকা। এছাড়াও ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হবে।

jagonews24

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুমোদিত জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সাচিবিক সহযোগিতায় ৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি জেলা পর্যায় থেকে আবেদন সংগ্রহ, যাচাই-বাছাই করে সুপারিশ করেছেন।জেলা পর্যায় থেকে পাওয়া এ আবেদনসমূহ পূর্ব অনুমোদিত মানদণ্ডের ভিত্তিতে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে প্রাইভেট সেক্টর প্রতিনিধি সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন শেষে চারটি ক্যাটাগরিতে মোট ৪০ জন উদোক্তা চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করেছেন। ১ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।

বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২২ এর কর্মসূচি
দুগ্ধ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য “পরিবেশ, পুষ্টি ও আর্থসামাজিক ক্ষমতায়নে টেকসই ডেইরি সেক্টর”। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের সহায়তায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বেশ কিছু পরিকল্পনা ও কার্যক্রম পরিচালা করবেন।

দেশের প্রকল্পভূক্ত ৬১টি জেলায় জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের নেতৃত্বে ১ জুন বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন হচ্ছে। এজন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ এলডিডিপি প্রকল্প থেকে দেওয়া হবে। সেখানে র্যালি, প্রচারণা, এক বা একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়/এতিমখামানায় ছাত্রদের দুধ বা দুধের পণ্য খাওয়ানো, সভা/সেমিনার আয়োজন করা, রচনা বা কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা, পুরস্কার বিতরণ ইত্যাদি কার্যক্রম রয়েছে।

কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২২ উপলক্ষে একটি র্যালির আয়োজন করা হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বেসরকারি উদ্যোক্তা প্রতিনিধিরা এ র্যালিতে অংশ নেবেন। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) এর কনভেনশন হলের নিচতলায় দিনব্যাপী প্রাণিজাত পণ্য প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। যেখানে দেশের খ্যাতনামা ও নতুন উদ্যোক্তারা অংশ নেবেন। দিনশেষে মূল্যায়ন সাপেক্ষে তিনটি স্টলকে পুরস্কৃত করা হবে। কেআইবি অডিটোরিয়ামে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২২ উদযাপন ও ডেইরি আইকন সেলিব্রেশন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাইল করিম এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

এছাড়াও ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্পটে রোডসাইড ব্র্যান্ডিং করা হবে। ঢাকায় পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রদের দুধ পান করানো হবে। এক্ষেত্রে মিল্কভিটা, প্রাণ ডেইরি, ব্র্যাক ডেইরি, রংপুর ডেইরির মতো প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা করবে।

আইএইচআর/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।