স্বপ্ন দেখতে বললেন শাকিব খান! (ভিডিও)


প্রকাশিত: ০৮:৩৩ এএম, ২৩ জানুয়ারি ২০১৬
ভিডিও সহযোগীতা : জিয়াউদ্দিন আলম

‘বলিউডের মিস্টার শাহরুখ খান পাঁচ কিংবা দশ বছর আগেও জানতেন না তিনি টম ক্রুজের মতো হলিউডে ডাকসাইটে সব অভিনেতাদের পিছনে রেখে বিশ্বের শীর্ষ ধনী অভিনেতাদের মধ্যে দুই সম্বর হবেন। কিন্তু তিনি সেটি হয়ে দেখিয়েছেন। এটা সম্ভব হয়েছে আজকের এই দিনে শাহরুখ খান নিজেকে এভাবেই স্বপ্ন দেখেছিলেন। তারপর চেষ্টা করেছেন এবং সফল হয়েছেন। তাই স্বপ্ন দেখতে হবে। আমাদের চলচ্চিত্র নিয়েও ভালো এবং অনেক বড় স্বপ্ন দেখতে হবে।’

সদ্য অনুষ্ঠিত একটি ছবির মহরতে এ দেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনের উন্নয়নে এমনই পরামর্শ দিলেন ঢালিউড কিং খান শাকিব। গেল শুক্রবার আলোচিত নির্মাতা আশিকুর রহমান পরিচালিত নতুন চলচ্চিত্র ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ এর বর্ণাঢ্য মহরত অনুষ্ঠিত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক সিনেফেক্ট মিডিয়া অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করবেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংখান খ্যাত চিত্রনায়ক শাকিব খান। এই ছবির মহরতে হাজির হয়েই ঢাকাই ছবির ভবিষ্যত একদিন উজ্জল হবেই বলে আশা প্রকাশ করেন শাকিব।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি এই ছবির পরিচালক আশিকুর রহমানকে ধন্যবাদ জানাই তিনি আন্তর্জাতিক পরিসরে ছবি নির্মাণ ও মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। তিনি তো স্বপ্নটা বড় করে দেখতে পেরেছেন- এটাই বড় বিষয়। আজকাল অবশ্য অনেক ঢাকাই ছবিরই শুটিং হচ্ছে বিশ্বের নানা দেশে। কিন্তু বিদেশের প্রেক্ষাগৃহে ছবি মুক্তি দেয়া হয় না। যার ফলে বিশ্বের নানা প্রান্তে থাকা বাঙালিরা আমাদের ছবি দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সেদিক থেকে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার আলাদা দুটি প্রযোজনা সংস্থার মাধ্যমে নির্মিত ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবিটি অস্ট্রেলিয়ান বাঙালিরাও হলে গিয়ে দেখার সুযোগ পাবেন। সেখানে ছবির ভালো ব্যবসা হলে এবং ছবির মানোন্নয়ন হলে ধীরে ধীরে বিদেশিরাও আমাদের ছবির প্রতি আগ্রহী হবে। আস্তে আস্তে এটা অস্ট্রেলিয়া থেকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব। তাই স্বপ্ন দেখার অভ্যেস করে সে লক্ষে পৌঁছানোর চেষ্টা চালালে একদিন আমরাও হলিউড-বলিউডের মতো বিশাল বাজার পাবো।’

শাকিব আরো বলেন, ‘স্বপ্ন দেখতে তো দোষ নেই। আজকের বলিউডের স্বপ্ন ছিলো বলেই আজ তারা বিশ্ব জুড়ে ছবির বাজার তৈরি করতে পেরেছে। আমরাও চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন সময়ে চেষ্টা করেছি কীভাবে ছবির বাজার বড় করা যায়। সেদিক থেকে বরাবরই বিদেশি প্রডিউসাররা একটা গুরুত্ব পেয়ে এসেছে। আমরা চাই যেখানেই বাঙালিরা আছেন সেখানেই আমাদের ছবি মুক্তি পাক। তারজন্য আমাদের ছবির মান উন্নয়ন জরুরি।’

শাকিব বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। সেখানে তিনি বলেন, সহ-শিল্পী হিসেবে নবাগতা শিবা আলী খানের উজ্জল ও সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার রয়েছে। তার সঙ্গে জুটিটি দর্শকরা গ্রহণ করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

পাশাপাশি কলকাতার সঙ্গে ঢাকার বহুল আলোচিত যৌথ প্রযোজনার ছবি ও তাতে অভিনয় করা প্রসঙ্গে শাকিব বলেন, ‘একটু আগেই বলেছি আমাদের ছবির বাজার তৈরি করা প্রয়োজন। যেটুকু আছে সেটিকে আরো বিশাল করা প্রয়োজন। সেজন্য যৌথ প্রযোজনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্ষেত্র। কিন্তু সেটি হতে হবে নিয়ম রীতি মেনে। আগেও এই দেশে যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু আজকার যেরকম অভিযোগ শোনা যায় সেরকমটি ছিলো না। তাই এই বিষয়গুলো ঠিক হলে এবং আমাদের ইন্ডাস্ট্রি অবহেলিত না হলে যৌথ প্রযোজনার ছবিতে কাজ করতে কোনো আপত্তি নেই আমার।’

২০১৫ সালের সালতামামিতে দেখা গেছে, শেষ হওয়া বছরটিতে শাকিব খানই ছিলেন একমাত্র ব্যবসা সফল ছবির নায়ক। এটি চলচ্চিত্রের জন্য কতোটা ইতিবাচক? এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে শাকিব বলেন, ‘এটা কখনোই ইতিবাচক নয়। একটা ইন্ডাস্ট্রি একজন বা দুই-তিনজনের উপর দাঁড়াতে পারে না। হয়তো ঘুরে ফিরে কয়েকজন সফলতার শীর্ষে থাকতে পারে। কিন্তু ব্যবসা করতে হবে সবাইকে। যেমন দেখুন হলিউডে বছর শেষে আমরা সেরা দশটি ছবির তালিকা পাই। কিন্তু সেখানে প্রচুর ব্যবসা সফল ছবি হয়। আর ব্যক্তিগতভাবে যদি বলেন যে আমার ছবিই বছরের সেরা হলে কেমন লাগে তবে বলবো বেশ ভালোই। এটা আসলে দর্শকদের ভালোবাসার জন্যই।’

এরপর শাকিব সাংবাদিকদের আরো বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাস থেকে সিডনি ও মেলবোর্নে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবির মূল অংশের শুটিং শুরু হবে। এরপর জুলাইয়ে আংশিক কাজ হবে বাংলাদেশে। ছবিটি চলতি বছরের শেষদিকে মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার প্রযোজনা সংস্থা দুটি।

অন্যদিকে এবছরে শাকিব অভিনীত প্রায় পাঁচটি ছবি মুক্তি পাবে। সেগুলো হলো বহুল আলোচিত ‘সম্রাট’, ‘মেন্টাল’, ‘সত্ত্বা’, ‘রাজনীতি’, ‘রাজা ৪২০’।

ভিডিও দেখুন মহরত অনুষ্ঠানে শাকিবের বক্তব্যের একাংশ :

এলএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।