বাঘাইছড়িতে অগ্নিকাণ্ডে ৪০ দোকান ভস্মীভূত


প্রকাশিত: ০৯:২২ এএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৬

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা বাঘাইছড়ি সদরের কাচালং বাজারে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে বসতঘরসহ ৪০টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আমিনুল হকের ফার্নিচার দোকানের চুলা থেকে ওই ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত ঘটে বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, এর আগেও কয়েক বছরের ব্যবধানে কাচালং বাজারে চার দফায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ওইসব অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতে পারার আগেই এবার সর্বশেষ আগুনে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হলেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত পৌনে ১২টার দিকে কাচালং বাজারের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত আমিনুল হকের একটি ফার্নিচারের দোকান থেকে জ্বলে ওঠা আগুন মুহূর্তেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভাতে তাৎক্ষণিক নেমে পড়েন বিজিবি, আনসার, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপি চেষ্টার পর শেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। কিন্তু তার আগেই আগুনে মুদি, ফার্নিচার, স্টেশনারিজসহ ৩৭ দোকান পুড়ে ছাই হয়। এছাড়া আগুনে পুড়েছে তিনটি বসতবাড়ি।

কাচালং বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলী হোসেন জানান, বাজার ফান্ডের আওতাধীন ৪১টি দোকানের মধ্যে ৩৭টি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এছাড়া আগুনে আংশিকভাবে ক্ষতি হয়েছে আরও পাঁচটি দোকান। ওই মার্কেট এলাকায় বসবাসকারী ভাড়াটিয়া ১১টি পরিবার ক্ষতির শিকার হয়েছেন। আগুনে সব মিলিয়ে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ২ কোটি টাকার।

এদিকে বাঘাইছড়িতে কোনো ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসলেও বাঘাইছড়িতে আজ পর্যন্ত কোনো ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা হয়নি।   

অগ্নিকাণ্ডের বিষয় জানতে চাইলে বাঘাইছড়ি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন ফকিরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও স্থানীয়দের যৌথ প্রচেষ্টায় দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হতো।

সুশীল প্রসাদ চাকমা/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।