ঝিনাইদহের পাটালি গুড় যাচ্ছে সারাদেশে


প্রকাশিত: ০৬:১৭ এএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৬

মানে উন্নত হওয়ায় ঝিনাইদহের গুড় দেশের বিভিন্ন জায়গায় দিনের পর দিন জনপ্রিয় উঠেছে। সারাদেশ থেকে গুড় ব্যাপারি ও পাইকাররা আসছে ঝিনাইদহে  গুড় কেনার জন্য। এ গুড় সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। তাছাড়া এ জেলার গুড়ের চাহিদা সারাদেশে বাড়ছে।

ঝিনাইদহের ডাকবাংলা বাজারে গুড় বিক্রি করতে আসা ইসলাম মিয়া জানান, শীত যত বেশি হবে খেজুর গাছ থেকে রস তত বেশি পাওয়া যাবে। আবার রস যত বেশি হবে গুড়ও তত বেশি হবে। অপরদিকে কুয়াশা যত বেশি হবে রস তত কমে যাবে। পাশাপাশি গুড়ের উৎপাদনও কমে যাবে। আর এ বছর অব্যাহত কুয়াশার কারণে খেজুর রস কমে গেছে এবং গুড় উৎপাদনও কমে গেছে।

Jhenidah-gur

ঝিনাইদহের বাজার ও হাট ঘুরে দেখা গেছে, ঐতিহ্যবাহী খেজুর গুড়ের হাট সুনামের সঙ্গে পরিচালনা হয়ে আসছে। প্রতি বছরের মতো এবারও পুরানো ঐতিহ্যের মাধ্যমে জমে উঠেছে খেজুর গুড়ের হাট। চলতি বছরে শীতে খেজুরের গুড় আমদানি ও রপ্তানি ব্যাপক হারে বেড়েছে ও সেই সঙ্গে জমে উঠেছে গুড়ের হাটগুলো।  ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই বাজারে গুড়ের ভাড় নিয়ে হাজির গুড় উৎপাদনকারি গাছিরা। গুড় কেনা নিয়ে শুরু হয়ে যায় ব্যাপারিদের হুড়োহুড়ি।

Jhenidah-gur

বংকিরা গ্রামের গুড় ব্যবসায়ী বিশ্বাস আলী জানায়, খুচরা ও পাইকারি সকল ব্যবসায়ীর উপস্থিতির সমাগমে গুড়ের হাট জমে উঠেছে। গুড় ভর্তি ভাড় প্রতি ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

Jhenidah-gur

বিভিন্ন হাট মালিক সূত্রে জানা গেছে, এ জেলা থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১৫ ট্রাক গুড় ভর্তি হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। ভাল মূল্য পাওয়ায় গ্রামগুলোতে গাছিদের মধ্যে খেজুরের রস দিয়ে গুড় তৈরির তোড়জোড় লেগে গেছে। তবে বর্তমানে খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় জেলার এই ঐতিহ্যবাহী গুড়ের হাটের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত গুড় ব্যবসায়ীরা।

এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।