প্রকৃতি আর কৃত্রিমতার অপূর্ব সংমিশ্রণ পুত্রাজায়া


প্রকাশিত: ০৩:৪২ এএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৬

পুত্রাজায়া। পরিচ্ছন্ন, সুপরিকল্পিত এক শহর। মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী। আশির দশকে এ শহরের জন্ম। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহথির মোহাম্মদের হাতে এ শহরের গোড়াপত্তন। রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপনার এ শহর যে কাউকে মুগ্ধ করবে। প্রতিদিন শতাধিক দেশের হাজারো পর্যটক এ শহরের সৌন্দর্যে বিমোহিত হন।

উন্নত বিশ্বের মডেল এই সিটি বিদেশি পর্যটকদের কাছে অতি মাত্রায় আকর্ষণীয়। এখানে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। মালয়েশিয়া সরকারের গুরত্বপূর্ণ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়। রয়েছে সরকারি বেসরকারি ডজন খানেক বিশ্ববিদ্যালয়। রয়েছে দৃষ্টিজুড়ানো মসজিদ।
 
jaya-malesiya

বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে বেশকিছু লেক । লেকগুলোর ভেতরে ভবনের জন্য রয়েছে ছোট ছোট নৌযান ও বর্ণিল ঝর্নাধারা। যা পর্যটকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে। আর অনন্যসব স্থাপনাগুলো দেখতে বিশ্বের সব প্রান্তের মানুষ ছুটে আসছে।
 
পুত্রাজায়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি বোরহান উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, শুক্রবার বিকেলে ও রোববার সারাদিন পুত্রাজায়ার বিভিন্ন লোকেশনে পর্যটকদের উপছে পড়া ভিড় দেখা যায়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে।

jaya-malesiya

শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একদল পর্যটক ছবি তুলছিলেন। তারা এসেছেন পোল্যান্ড থেকে।  চার বন্ধু নিয়ে এসেছেন স্ত্রী সন্তানদের। তাদের একজন জ্যাকব উইলিয়াম জানান, সাত দিনের ট্যুরে তারা এসেছেন। ঘুরেছেন কুয়ালামপুর, গেংটিং হাইল্যান্ড, লঙ্কাভিসহ বেশ কিছু পর্যটন স্থান। তবে সবচেয়ে সাজানো গোছানো মনে হয়েছে পুত্রাজায়া। প্রাকৃতিক নদীর পাশে গড়ে তোলা হয়েছে কৃত্রিম পার্ক। প্রকৃতি আর কৃত্রিমতার এক নান্দনিক সংমিশ্রণ।

আরএম/এসকেডি/এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।