হেপাটাইটিস ই গবেষণায় আন্তর্জাতিক অনুদান লাভ আইসিডিডিআরবির


প্রকাশিত: ১১:৪৭ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০১৬

গর্ভবতী মায়েদের ভাইরাল ‘হেপাটাইটিস ই’ সংক্রমণমুক্ত রাখতে দেশব্যাপি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) এর বিজ্ঞানীরা। গবেষণা কার্যক্রমটি পরিচালনার জন্য নরওয়েভিত্তিক বিশ্ব স্বাস্থ্য ও ভ্যাকসিনেশন গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবভ্যাকের আর্থিক অনুদান পেয়েছেন তারা।

গ্লোবভ্যাক নামক প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের দেশের দরিদ্র জনগণের টেকসই স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে গবেষণা কার্যক্রমে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে।

জানা গেছে, আইসিডিডিআরবির সিনিয়র বিজ্ঞানী ডা. কে জামান ও তার সহযোগীরা নরওয়ের ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথের সঙ্গে যৌথভাবে সাড়ে পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার সমমানের আর্থিক অনুদান পেয়েছেন।

অনুদানপ্রাপ্ত অর্থ দিয়ে তারা গবেষণা পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশে গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে ‘হেপাটাইটিস ই’ পরিস্থিতি, ঝুঁকি ও টিকাদান পরবর্তী সার্বিক অবস্থা জানতে গবেষণা চালাবে।

হেপাটাইটিস ই বাংলাদেশে অন্যতম জনস্বাস্থ্য সমস্যা। কারণ পানি ও খাবারে সংক্রমণের ফলে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। গর্ভবতী মা ও গর্ভজাত ভ্রুণ হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন।

এ রোগে সাধারণ মৃত্যুহার শতকরা এক থেকে তিন ভাগ হলেও গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে এ হার শতকরা পাঁচ ভাগ থেকে ২৫ ভাগ। এ রোগের কারণে গর্ভপাত, মৃতসন্তান প্রসব ও নবজাতকের মৃত্যুও হতে পারে।

জানা গেছে, চাঁদপুরের মতলব উপজেলার ৬৭টি গ্রামে এ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ১৬ থেকে ৩৯ বছর বয়সী ২০ হাজার নারীর ওপর এ গবেষণা চালানো হবে। তাদের প্রত্যেককে বিভিন্ন মেয়াদে শূন্য দিবস, একমাস ও ছয়মাস মোট তিনটি টিকা দেয়া হবে।

বাংলাদেশি ইনসেপটা কোম্পানির দামে সাশ্রয়ী টিকা গবেষণা নমুনায় ব্যবহৃত হবে। এ গবেষণা পরিচালনার সুফল হিসেবে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার গর্ভবতী মায়েদের হেপাটাইটিস ই তে আক্রান্ত হওয়া থেকে মুক্তি দেবে।

ডা. কে জামান বলেন, এই টিকাটি কার্যকর হলে গর্ভকালীন জটিলতা, মাতৃমৃত্যুরোগ, গর্ভকালীন বিভিন্ন ঝুঁকির হাত থেকে মুক্ত থাকতে সহায়তা তথা নব দিগন্ত উন্মোচন করবে।

এমইউ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।