অপুষ্টিতে ভুগছে ২৮ শতাংশ শিশু, সর্বোচ্চ সুনামগঞ্জে
অপুষ্টি কমানোর ক্ষেত্রে যেসব দেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে , বাংলাদেশ সেগুলোর অন্যতম। শিশুদের অপুষ্টি কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য ইতিহাসে দ্রুততম। খাদ্য উৎপাদন উন্নতকরণ ও বণ্টন ব্যবস্থা সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ শিশুদের খর্বাকৃতির হার ১৪ শতাংশ কমাতে সক্ষম হয়েছে। খর্বাকৃতির হার ২০১৩ সালে ছিল ৪২ শতাংশ, ২০১৯ সালে তা কমে ২৮ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে সর্বোচ্চ খর্বকায় শিশুর হার বেশি সুনামগঞ্জে, ৪৪ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে কম খর্বকায় শিশুর জন্ম মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ায়, ১৫ শতাংশ।
রোববার (২২ মে) নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) কার্নিভাল হলে ‘বাংলাদেশের অপুষ্টি মানচিত্র ২০১৯’ প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর জেনি পিয়ার্সি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বিবিএস’র প্রভার্টি অ্যান্ড আন্ডার নিউট্রিশন ম্যাপিংসের ফোকাল পয়েন্ট মো. আলমগীর হোসেন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের পুষ্টি বিষয়ক অনেক কাজ হাতে নেওয়া হয়। এগুলো অনেকাংশেই দরিদ্রবান্ধব কাজ। দেশে দৃশ্যমান পুষ্টি-সংবেদনশীল কার্যক্রমের কারণে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা কমেছে। আয় বৃদ্ধি, পরিবার ছোট রাখা, দুটি সন্তান জন্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সময়ের ব্যবধান রাখা, পিতামাতার বিশেষত নারীদের শিক্ষা এবং বিস্তৃত স্বাস্থ্যসেবার সুযোগের কারণেই এই সফলতা এসেছে।
সব ধরনের অপুষ্টি দূর করে উত্তম পুষ্টিমান উৎসাহিত করার গুরুত্ব টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন, ক্ষুধার অবসান, খাদ্য নিরাপত্তা ও উন্নত পুষ্টিমান অর্জন এবং টেকসই কৃষির প্রচার ভূমিকা রাখে। গত ২০ বছরে খর্বাকৃতির শিকার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমেছে।
২০২০ সালের বিশ্ব পুষ্টি প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশ একই গতিতে চলছে বলে ধরে নিলে দেখা যায়, ২০২৫ সালের ১০টি বৈশ্বিক পুষ্টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে দুটির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যথাযথ অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি করেছে। শিশুদের অপুষ্টির অবস্থা নির্দেশে তিনটি পরিমাপক ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলো হলো উচ্চতা, ওজন ও বয়স। ৬০ মাসের কম বয়সী শিশুদের পুষ্টি পরিস্থিতি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
এমওএস/এমএইচআর/জিকেএস