ঋণ খেলাপি হওয়ায় নৌকার প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে ঋণ খেলাপির অভিযোগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মামুনুর রশিদ রাসেলের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) পটিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি (ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো) মামুনুর রশিদ রাসেলকে ঋণ খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোসাইনী জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রশিদ দৌলতী, মো. সাহাবুদ্দিন, মো. জাহিদুল হকের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার। তবে ব্যাংকে হিসাব না খোলায় সাহাবুদ্দিনকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
মনোনয়ন বাতিল বিষয়ে জানতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মামুনুর রশিদ রাসেলের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
সূত্রে জানা যায়, গত ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর পটিয়া উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছনহরায় ভোটকেন্দ্র দখল করে জোরপূর্বক ভোট নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২টি কেন্দ্রের ভোট বাতিল হয়।
পরবর্তী সময়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রশিদ দৌলতী আরও ৩টি ভোটকেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত টিম এর সত্যতা পেয়েছে এবং আবদুর রশিদ দৌলতী উচ্চ আদালতে একটি রিট মামলা করেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি স্থগিত ২টি ভোট কেন্দ্রের নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়। নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম বিজয়ী হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রশিদ দৌলতী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে উচ্চ আদালতে শরণাপন্ন হয়। ওই মামলায় উচ্চ আদালত গেজেট স্থগিত করেন।
এদিকে ছনহরা ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর গত ২৫ মার্চ মারা যান। যে কারণে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। উপ-নির্বাচনে তার ছেলে মামুনুর রশিদ রাসেল আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান। আগামী ১৫ জুন উপ-নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
পটিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোছাইনী জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি কর্তৃক ক্রেডিট কার্ডের ঋণ খেলাপি হওয়ায় মামুনুর রশিদ রাসেলের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। তবে তাকে আপিল করার জন্য তিন দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তিনি চাইলে আপিল কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আপিল করতে পারবেন।
ইকবাল হোসেন/এমকেআর