খন্দকার মোশাররফের আবেদন হাইকোর্টে খারিজ
বিদেশে অর্থ পাচার (মানিলন্ডারিং) মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে তার বিরুদ্ধে মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ‘উত্থাপিত হয়নি’ মর্মে আবেদনটি খারিজ করে দেন।
আদালতে মোশাররফের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
এর আগে ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর অর্থ পাচারের মামলায় খন্দকার মোশারফ হোসেন বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-অভিযোগ গঠন করেন। পরে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. খন্দকার মোশাররফ।
অভিযোগে বলা হয়, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অবৈধ উপায়ে অর্জিত মুদ্রা বিদেশে পাচার করে আইন পরিপন্থী কাজ করেছেন। মোশাররফ ও তার স্ত্রী বিলকিস আক্তারের যৌথ নামে যুক্তরাজ্যের লয়েড টিএসবি অফশোর প্রাইভেট ব্যাংকে ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪২.৪৩ ব্রিটিশ পাউন্ড (হিসাব নম্বর- ১০৮৪৯২) জমা করেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন ওই টাকা পাচার করেন বলে দুদকের তদন্তে প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এফএইচ/জেডএইচ/পিআর