বগুড়া মেডিকেলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ


প্রকাশিত: ১২:৩৫ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০১৬

বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে (শজিমেক) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন একজনকে ইন্টার্নি চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি বানানোকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় বগুড়া বিএমএর সভাপতি ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মোস্তফা আলম নান্নু মেডিকেল কলেজে ইন্টার্নি চিকিৎসকদের নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে তিনি ডা. ইবনে সিনা শুভকে ইন্টার্নি চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ঘোষণা করেন। এতে ছাত্রলীগ শজিমেক শাখার একাংশের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তারা কলেজে বৈঠক করে জাহিদ হাসান পলাশকে ইন্টার্নি চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ঘোষণা দিয়ে পাল্টা কমিটি ঘোষণা করেন। এনিয়ে ছাত্রলীগেরই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিকেলে ছাত্রলীগের ওই দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় বেশ কিছু চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ছাত্রলীগ শজিমেক শাখার সাবেক সভাপতি জাহিদ হাসান পলাশ অভিযোগ করে বলেন, ইবনে সিনা শুভ আগে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ছাত্রদলের বেশ কিছু অনুষ্ঠানে তার ছবি রয়েছে। অথচ তাকেই ইন্টার্নি চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি বানানো হয়েছে। যা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারেনি।

এ ব্যাপারে ইন্টার্নি চিকিৎসক পরিষদের নব-নির্বাচিত সভাপতি ডা. ইবনে সিনা শুভ জানান, তিনি আগে থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন। কখনো ছাত্রদলে ছিলেন না।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈমুর রাজ্জাক তিতাস জানান, ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয় নয়। ইন্টার্নি চিকিৎসকদের কমিটি নিয়ে বিরোধ। তবে ছাত্রলীগের ২/১ জন এই বিরোধে জড়াতে পারে। বিরোধ মীমাংসার জন্য সমঝোতার উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানান তিনি।

এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।