ইউপিতে প্রচারণার সুযোগ পাচ্ছেন মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানরা


প্রকাশিত: ১২:০০ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০১৬

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়ররা  প্রচারণা চালাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ। তবে এ কাজে তারা সরকারি সুবিধা নিতে পারবেন না বলেও জানান তিনি। রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

শাহনেওয়াজ বলেন, মঙ্গলবার ইউনিয়ননের আচরণবিধির আদলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধি তৈরি করা হয়েছে।  পরিষদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা চূড়ান্ত করেছি আমরা। দুই এক দিনের মধ্যে ভেটিংয়ের (পরীক্ষা-নিরীক্ষা) জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। পৌরসভা নির্বাচ

নির্বাচন কমিশনার বলেন,  পৌরসভা থেকে ইউপিতে যেগুলো পরিবর্তন আনা হয়েছে সেগুলো হলো; পৌরসভায় যেমন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ভোটারদের সমর্থন যুক্ত সই লাগতো, ইউপিতে এটা লাগবে না। এছাড়া নির্বাচনে হলফনামা ও ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) নম্বর দিতে হবে না।

নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে শাহনেওয়াজ বলেন, নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী ভোটগ্রহণের ২১ দিনের আগে প্রচারণায় কেউ অংশ নিতে পারবেন না। তবে নির্ধারিত দিনের পর প্রার্থীরা প্রচারণায় নামতেও পারলেও প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না।

তিনি বলেন, তফসিল অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে সব প্রার্থী প্রতীক নিয়ে প্রচারণা চালাতে পারবেন। প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রতীক নিয়ে প্রচারণা চালালে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) থাকবে না আগে থেকে দলীয় প্রার্থীরা তাদের প্রতীক জানতে পারলেও, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তা জানতে পারবেন না। এজন্য আমরা বিধিতে এটুকু উল্লেখ রেখেছি।

কমিশনার বলেন, আচরণবিধি ভেটিং হয়ে এলে আমরা তফসিলের দিনক্ষণ নির্ধারণ করব। সাড়ে চার হাজার ইউপি নির্বাচন কয়েকটি ধাপে করতে হবে। তাছাড়া তফসিল ঘোষণার পর কতদিন রাখা হবে তাও বাস্তবতার নিরিখে ঠিক করা হবে।

এইচএস/এসকেডি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।