রেকর্ড মুছে ফেলার বিরুদ্ধে বোল্ট
ছয়বারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন উসাইন বোল্ট বলছেন, আইএএএফ-এ যেভাবে দুর্নীতি ঢুকে পড়েছে, তাতে তিনি খুবই ধাক্কা খেয়েছেন; কিন্তু তাই বলে অনেকেই অ্যাথলেটদের রেকর্ড মুছে দেয়ার যে কথা তুলেছেন, তা মানতে পারছেন না তিনি। গত বৃহস্পতিবার ওয়াডা ফের একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে, তাতে আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকস অ্যাসোসিয়েশনকে আবার তুলোধোনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই সংস্থাটির রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকে পড়েছে।
সংস্থার সাবেক প্রধান লামিনে ডিয়াককে দুষিয়ে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত অ্যাথলেটদের আড়াল করতে যতটা তার পক্ষে করা সম্ভব, করেছেন। বোল্টও মনে করছেন, ডোপ করা অ্যাথলেটদের ধরতে ব্যর্থ হয়েছে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি। তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হতো আন্তর্জাতিক সংস্থা খুব ভালো কাজ করছে; কিন্তু আমি যখন সব কিছু জানতে পারলাম, তখন খুবই ধাক্কা খেলাম।’
কিংস্টনে সেরা জাতীয় অ্যাথলিটের পুরস্কারের অনুষ্ঠানের ফাঁকে বোল্টের বক্তব্য, ‘আমি এতটাই হতাশ হই যে মনে হচ্ছিল বোধ হয় ভেঙে পড়রো। আমি একজন অ্যাথলেট। এত বছর ধরে বিশ্বের সেরা মঞ্চে পারফর্ম করছি। তারপর যদি শুনতে হয় আমার খেলার আন্তর্জাতিক সংস্থা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে, তখন তো এই রকমই মনে হওয়া স্বাভাবিক। এখন দেখা যাক তদন্তে কী উঠে আসে।’
গত ১৬ বছর ধরে আইএএএফ-এর ‘সর্বেসর্বা’ ডিয়াক পদত্যাগ করার পর সেবাস্তিয়ান কো এখন অ্যাসোসিয়েশনটির শীর্ষে। নানা মহলে প্রবল দাবি উঠেছে অ্যাথলেটিকসে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার। কো সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদন্ত করছেন। দোষীদের কঠোর শাস্তি দেয়ার কথাও তুলেছেন।
এরই মধ্যে অনেকে বলছেন অভিযুক্ত অ্যাথলিটদের রেকর্ড মুছে দেয়ার কথা। এ নিয়ে বোল্ট অবশ্য অন্য রকম ভাবছেন, ‘দেখুন, যদি আমার ব্যক্তিগত রেকর্ডের কথা বলেন, তাহলে আমি চিন্তিত নই। কারণ, আমার এ নিয়ে ভাবার প্রশ্ন ওঠে না। তবে, যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে।’
একটু থেমে সংযোজন করলেন, ‘আমাদের অতীত ভুলে তো সামনের দিকে এগোতে হবে। চেষ্টা করতে হবে, ভবিষ্যতে যেসব বিশ্বরেকর্ড হবে, তা যাতে স্বচ্ছ থাকে তার চেষ্টা করতে হবে।’ তার শেষ কথা, ‘অতীত নিয়ে বেশি চিন্তা না করে ভবিষ্যৎ গড়তে হয়।’
আইএইচএস/বিএ