জলবসন্ত আক্রান্তদের আলাদা মশারির নিচে রাখার পরামর্শ


প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬

জলবসন্ত অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগ। শীতকালে এ রোগের প্রকোপ বাড়ে। পরিবারের কারো ছোঁয়াচে রোগ হলে তাকে পৃথক করে মশারির নিচে রাখা উচিত। এমনই পরামর্শ দিলেন আইডিসিআরের পরিচালক রোগতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. মাহদুদুর রহমান।

সোমবার রাতে তিনি জাগো নিউজের এই প্রতিবেদককে তিনি এ তথ্য জানান। এর আগে গতকাল রোববার নেত্রকোনো কলমাকান্দায় ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এলাকা পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছে।

তথ্য সংগ্রহ শেষে ড. মাহদুদুর রহমান বলেন, অজ্ঞাত কোনো রোগে নয়, জলবসন্ত পরবর্তী নিউমোনিয়াজনিত জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে নেত্রকোনার কলমকান্দায় শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তরা কেউ চিকিৎসকের কাছে যাননি। ঝাড়ফুঁক ও কবিরাজী চিকিৎসা নিয়েছেন। সময়মতো সুচিকিৎসার অভাবেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

gute

তিনি আরও বলেন, যারা মারা গেছে তারা কেউ পৃথক বিছানা কিংবা মশারির নীচে ছিলেন না। তারাসহ আক্রান্ত অন্যান্যরা ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়িয়েছেন। জলবসন্তে আক্রান্ত হলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে পৃথক রাখা ও প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের চিকিৎসা গ্রহণ করার পরামর্শ দেন তিনি।

মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর গবেষক দলের অনুসন্ধানে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে আক্রান্তদের কাছ থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষায় (রক্ত ও ফ্লুইড) জলবসন্তে আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে।

Netrokona

আইডিসিআরের পরিচালক বলেন, যে পাঁচজন মারা গেছে তাদের কেউ সরাসরি জলবসন্তে আক্রান্ত হওয়ার কারণে মারা যাননি। মৃত পাঁচজনের মধ্যে দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ও তিনজন শিশু ছিল। প্রাপ্তবয়স্ক দুজনের একজন ক্যান্সারে ও অপরজন অ্যাজমায় আক্রান্ত ছিলেন। একজনের বয়স ছিল ৭৫ বছরেরও বেশি।

তিনি জানান, জলবসন্ত আক্রান্ত শিশুরা পরবর্তীতে জটিল নিউমোনিয়ায়ও আক্রান্ত হয়। সময়মতো সুচিকিৎসা না পাওয়াই তাদের মৃত্যু কারণ বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Netrokona

তিনি জানান, গত নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত নেত্রকোনার কলমকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের ৯টি গ্রামের মোট ৭০ জন জলবসন্তে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য তাদের কাছে রয়েছে।

শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যুতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে আইইডিসিআর কর্মকর্তা আহমেদ রায়হান শরিফের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে যান। তারা মৃত্যুর শিকার পাঁচ পরিবারের সদস্য ও আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বিস্তারিত তথ্যউপাত্ত ও নমুনা সংগ্রহ করেন।

তিনি আরো জানান, ওই নয়টি গ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা কমে এসেছে। বর্তমানে কেউ হাসপাতালে ভর্তি নেই।

এমইউ/এসএইচএস/এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।