কালীগঞ্জে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ
গাজীপুরের কালীগঞ্জ সেন্ট্রাল হসপিটালে চিকিৎসকের অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার রাতে কালীগঞ্জ পৌরসভার বালীগাঁও এলাকার সেন্ট্রাল হসপিটলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রোগীর নাম ময়নাল হোসেন (৪০)। তিনি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের খোলাবাড়ী গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে। তিনি উপজেলার পৌর এলাকার বালীগাঁও গ্রামের নিরঞ্জন চন্দ্র ঘোষ মালীকানাধীন (আরসিসি) ইট ভাটায় শ্রমিকের কাজ করতো।
নিহতের চাচাত ভাই মোক্তার হোসেন ও প্রতিবেশী আব্দুল আলীম জানান, রোববার বিকেলে ওই ইট ভাটায় মাটি কাটার কাজ করছিল ময়নাল। হঠাৎ জমাট বাঁধা মাটির একটি অংশ তার উপর পড়ে। এ সময় ইট ভাটায় অন্য শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ময়নালকে ঢাকার অর্থোপেডিক্স হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু ওই ইট ভাটার ব্যবস্থাপক ভবেশ চন্দ্র ঘোষ তাকে কালীগঞ্জ সেন্ট্রাল হসপিটালে নিয়ে যায়। ওই হসপিটালে শেখ মজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স কনসালটেন্ট চিকিৎসক ইন্দ্রজিৎ কুমার কুন্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা শুরু হয়। এ সময় ময়নালের কিছু পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে তার অপারেশন করতে হবে বলে চিকিৎসক অন্য রোগী দেখা শুরু করেন। আর এ সময় ময়নালের মৃত্যু হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আওরঙ্গজেব জানান, রোগীর বুকে চাপ লেগেছে এবং বাম পায়ের একটি হাড় ভেঙে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকার অর্থোপেডিক্স হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছি।
কালীগঞ্জ সেন্ট্রাল হসপিটালের ব্যবস্থাপক প্রদীপ কুমার মিত্র (ভজন) জানান, হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসার পর তার পায়ের এক্সরেসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরে হাসপাতালের এমবিবিএস চিকিৎসক মো. মামুন মিয়া ও অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক ইন্দ্রজিৎ কুমার কুন্ড তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই হসপিটালের পরিচালক আরশাদ উল্লাহ জানান, আমার হসপিটালের চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়নি। এই হসপিটালের চিকিৎসকরা সবাই দায়িত্বশীল।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চিকিৎসক ইন্দ্রজিৎ কুমার কুন্ড জানান, সরকারি হাসপাতাল থেকে মৃত অবস্থায় ময়নালকে নিয়ে এসেছে। আমি তার কোনো চিকিৎসাই করিনি।
আব্দুর রহমান আরমান/এসএস/আরআইপি