রাবি শিক্ষক সমিতির অবস্থান ধর্মঘট পালন
অষ্টম জাতীয় পে-স্কেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গ্রেড ও মর্যাদা অবনমনের প্রতিবাদে এবং সকল অসঙ্গতি দূরীকরণের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (রাবিশিস)। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আনন্দ কুমরা সাহা বলেন, ঘোষিত ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মর্যাদাকে অবনমন করে সচিবদের উন্নীত করা হয়েছে সুপার গ্রেডে। আমরা যে মর্যাদায় ছিলাম তা শুধু ফিরে পেতে চাই। শিক্ষক সমিতি কখনো চায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকুক। কিন্তু আমাদের বাধ্য করা হচ্ছে। আমাদের এই যৌক্তিক দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন থেকে ফিরে যাবো না।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, আমরা গত ২ থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষকদের দাবিগুলো পুনর্বিবেচনার জন্য সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু আলোচনার জন্য কোনো প্রস্তাব আসেনি। ফলে আমরা লাগাতার কর্মসূচি দিয়েছি। আমরা সচিবদের সঙ্গে তুলনা করছি না। আমরা সচিবদের তৈরি করি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি নতুন পে-কমিশন গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রদান করতে হবে। ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী নতুন নিয়োগের মাধ্যমে অধ্যাপকদের নিয়োগ প্রদান করা হয়। আর একজন অধ্যাপক হতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩-১৪ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এবং কয়েকটি গবেষণাপত্রসহ পিএইচডি ডিগ্রি থাকতে হয়। আমাদের মর্যাদাকে অবনমন করা হয়েছে। আমরা তা ফিরে পেতে চাই।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার বিষয়ে রেজাউল করিম বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে অত্যন্ত আশাবাদী। আশা করি তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে আমাদের দাবি মেনে নিবেন। আলোচনার মাধ্যমে এ সঙ্কটের সমাপ্তি ঘটবে। অবস্থান কর্মসূচিতে প্রায় দেড়-শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও ১১ জানুয়ারি থেকে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করে আসছে।
রাশেদ রিন্টু/এসএস/এমএস