নিজে কেঁদে সবাইকে কাঁদালেন তারা
নিজ গ্রামের বাড়ির জমি বিক্রি করে মেধাবী মেয়ে সোনালীকে মেডিকেল কলেজে পড়াতে চেয়েছিলেন রং মিস্ত্রি বাবা জাকির হোসেন। মেয়ে সাবিহা আক্তার সোনালীকে হারিয়ে শোকে পাথর বাবা কেঁদে কেঁদে বলছিলেন, মেয়ে হারিয়ে আমার কলিজা ছিদ্র হয়ে গেছে।
রোবরার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোনালী হত্যার বিচারের দাবিতে এক মানববন্ধনে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন সোনালীর বাবা জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, সোনালি যদি মন্ত্রী, সচিবের মেয়ে হত তাহলে নিশ্চই এতক্ষণে ঘাতক ড্রাইভার গ্রেফতার হত কিন্তু আমি অসহায় রং মিস্ত্রি হওয়ায় আমার মেয়ের হত্যাকারী ড্রাইভারকে ধরতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। এসময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মেয়ে হত্যার বিচার না পেলে আমি ঘাতক ড্রাইভার হতেও প্রস্তুত আছি।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সোনালীর ভাই সাজ্জাত হোসেন সৈকত অশ্রুভেজা কণ্ঠে বলেন, একটা পরিবারের কাছে ভালো বোন, মেধাবী মেয়ে হারানোর ব্যাথা আর অন্য কেউ বুঝবে না।
আজ আমার বোনকে হারিয়েছি, কাল অপনাদের বোন হারাবে। এই মৃত্যু মিছিল থামার নয়। তিনি বলেন, জেব্রাক্রসিংয়ের পাশে কোন সাইনবোর্ড নাই, ড্রাইভার কিভাবে বুঝবে? জেব্রাক্রসিংয়ে যদি কেউ মারা যায় তাহলে অন্য জায়গার কী হবে? এসব জায়গায় একটা পুলিশ থাকে না, কোনো ট্রাফিক থাকে না-অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় সাজ্জাত হোসেনের কান্নায় মানববন্ধনে অংশ নেয়া সোনালীর সহপাঠী, উপস্থিত জনতাসহ, সংবাদ কর্মীদেরও চোখ মুছতে দেখা যায়।
এএস/এসকেডি/আরআইপি