জাতীয় সংগীত দিয়ে শেষ হলো রমনার বর্ষবরণ উৎসব
রবীন্দ্র সংগীত, লোকগান আর আবৃত্তি শেষে জাতীয় সংগীত দিয়ে শেষ হলো রমনা বটমূলের বর্ষবরণ উৎসব। সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে এভাবে ছায়ানটের শিল্পীরা শেষ করেন এবারের আয়োজন। দুই বছর পর নববর্ষের আয়োজন সম্পন্ন করে খুশি ছায়ানটের শিক্ষক ও ছাত্ররা।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে মূল অনুষ্ঠান শেষে কথা হয় ছায়ানটের বেশ কয়েজন শিল্পীর সঙ্গে।
তারা জানান, বিগত দুই বছর করোনা থাকলেও মহড়া করেছেন তারা। তবে কোনো অনুষ্ঠান না হওয়ায় কষ্ট পেয়েছেন। এবার নববর্ষের অনুষ্ঠান হওয়ায় খুশি শিল্পীরা।
বটমূলের মূল মঞ্চে অংশ নেওয়া ছায়ানটের শিক্ষক বিজন মিস্ত্রী বলেন, আমরা দুই বছর বদ্ধ অবস্থায় ছিলাম। এবার আমরা আয়োজনটি করতে পেরেছি, এটা নিঃসন্দেহে ভালো লাগার বিষয়। আমরা সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানটি শেষ করতে চেয়েছিলাম। বেশ ভালোভাবেই শেষ হয়েছে।
রমনা বটমূলে ছায়ানটের ৮৫ জন শিল্পীর মধ্যে ছিলেন ছায়ানটের শিক্ষার্থীরাও। গত দুই বছর মহড়া করেছে এসব শিল্পী। ছায়ানটের নজরুল দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নৌনীল আজাদ শ্রেষ্ঠ জাগো নিউজকে জানান, করোনার দুই বছরই আমরা মহড়া করেছি। কিন্তু অনুষ্ঠান হয়নি। একজন শিল্পী হয়ে রমনা বটমূলে নববর্ষের আয়োজনের এবার অংশ নিতে পেরে আমি গর্বিত।
ছায়ানটের শিক্ষার্থী সেমন্তী রৌদসী জাগো নিউজকে জানায়, গত দুই বছর মহড়া আমাদের হতো কিন্তু অনুষ্ঠান হয়নি। এবার হয়েছে, বেশ ভালো লাগছে। নতুন বছরে সবকিছু নতুন করে হোক, এটাই চাই। নববর্ষের এই আয়োজনে অংশ নিয়ে আমি আনন্দিত।
এদিকে অনুষ্ঠান দেখতে আসা দর্শনার্থীরাও এবারের আয়োজনে খুশি। তারা জানান, দীর্ঘদিন পর একটা বড় উৎসব করোনার ভয় কাটিয়ে হচ্ছে, এটা বেশ ভালো লেগেছে। আগামীতে আরও ভালো হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
আরএসএম/এমএইচআর/এএসএম