৯৯৯-এ ফোনকলে আত্মহত্যা চেষ্টাকারী দুই নারী জীবিত উদ্ধার
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে দুই জেলায় আত্মহত্যার চেষ্টাকারী দুই নারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ এপ্রিল) জাতীয় জরুরি সেবার পরিদর্শক (মিডিয়া) আনোয়ার সাত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুই নারীর একজনকে বুধবার সকালে ও অন্যজনকে দুপুরে উদ্ধার করা হয়।
আনোয়ার সাত্তার বলেন, দুপুরের দিকে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার এক নারী ৯৯৯-এ কল করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, তার স্বামী থাকেন সৌদি আরব। তারা প্রেম করে বিয়ে করায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। তাই তাকে নানাভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এখন তাকে রুমের মধ্যে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। নিজের বন্দিদশার কথা উল্লেখ করে ওই নারী আরও জানান, তিনি মানসিকভাবে খুব বিপর্যস্ত। তাকে উদ্ধার করা না হলে তিনি ফেসবুক লাইভে এসে গলায় দড়ি দেবেন।
এ সময় ৯৯৯ কল টেকার এএসআই ফেরদৌসকে বেশ বেগ পেতে হয় কান্নায় ভেঙে পড়া ওই নারীকে শান্ত করে তার ঠিকানা জেনে নিতে। এরপর এএসআই ফেরদৌস ফরিদগঞ্জ থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। এরপর ৯৯৯-ডিসপাচার এএসআই সিরাজুল ইসলাম কলার ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানার একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তালাবদ্ধ অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে। পরে উদ্ধার করা নারী (২৬) ও তার শ্বশুরকে (৬৫) থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে নারীর অভিযোগ দায়ের সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ফরিদগঞ্জ থানার এসআই রুবেল মিয়া।
অন্যদিকে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদরের গাইতাল এলাকার এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবা সেল ৯৯৯-এ কল করে জানান, তার একটি প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া নারী পারিবারিক কলহের জের ধরে ঘুমের ওষুধ খেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। ৯৯৯-এর কল টেকার কনস্টেবল শওকত আলী কলটি রিসিভ করেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
পরে কিশোরগঞ্জ সদর থানার এসআই দেলোয়ার ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫০টি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী নারীকে (২৩) উদ্ধার করেন। চিকিৎসার জন্য তাকে কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই নারী জীবিত আছেন বলেও জানান পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার।
টিটি/বিএ