রেস্টুরেন্টে খাওয়া হলো না মেধাবী ছাত্রী খাদিজার


প্রকাশিত: ০২:০৬ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৬

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে (পিইসি) জিপিএ ৫ পেয়েছে। এরপরই রেস্টুরেন্টে খাওয়ার বায়না ধরে দুলাভাইয়ের কাছে। বোন-দুলাভাইয়ের সঙ্গে ঢাকায় এসে আজই রেস্টুরেন্টে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রেস্টুরেন্টে খাওয়ার আগেই ঘাতক বাসের ধাক্কায় লাশ হলো ওই মেধাবী ছাত্রী খাদিজা সুলতানা মিতু। শনিবার বিকেলে সদরঘাট-গাবতলীগামী ৭ নম্বর বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে।

নিহত খাদিজার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের মানদুরায়। সে মনোহরগঞ্জের লক্ষ্মণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিইসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে লক্ষ্মণপুর ফাজিল মাদরাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল।

খাদিজার দুলাভাই ওমর ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, কয়েকদিন আগে মনোহরগঞ্জের শ্বশুর বাড়িতে একটি দাওয়াত শেষে আমি খাদিজাকে ঢাকায় বেড়াতে নিয়ে আসি। সে একটি রেস্টুরেন্টে খেতে চেয়েছিল। তাই তাকে শাহবাগে খাওয়াতে নিয়ে যাচ্ছিলাম। তখনই বাসের ধাক্কায় সে মারা যায়।
 
এঘটনায় ওই সাত নম্বর বাসসহ ড্রাইভারকে আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।
 
এর আগে, শনিবার সকালে মৎস্য ভবন এলাকায় বাসচাপায় নিহত হয় সাবিহা আক্তার নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। সে সেগুনবাগিচার রহিমা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে নবম শ্রেণিতে উঠেন।

শাহবাগে বেপরোয়া বাস চালানোর কারণে একদিনে নিহত হলো দুই মেধাবী শিক্ষার্থী। এবিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত চলছে।’
 
এদিকে খাদিজা এবং সাবিহার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা মামলা করার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন।
 
এআর/একে/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।