গ্রুপ চ্যাম্পিয়নই হলো মামুনুলরা


প্রকাশিত: ০৪:০০ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০১৬

শ্রীলংকাই বাংলাদেশ আর নেপালকে তুলে দিল সেমিফাইনালে। তারা নিজেরা তো আগেই বিদায় নিশ্চিত করে ফেলেছিল। শেষ ম্যাচে নিজেদের সঙ্গী করে নেয় মালয়েশিয়াকে। তাদেরকে হারানোর ফলে দু’দলই একসঙ্গে দেশের বিমানে উঠবে। এ কিারণেই দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলতে নামার আগে নির্ভারই ছিল বাংলাদেশ ও নেপাল।

তবে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যটা একটু বড়ই ছিল। কারণ, নেপালকে হারাতে না পারলেও ড্র করলেও, নিশ্চিত হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়নশিপ। অবশেষে সেটাই করতে পারলো বাংলাদেশ। নেপালের সঙ্গে গোলশূণ্য ড্র করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়নই হলো মামুনুল অ্যান্ড কোং। আজ (শুক্রবার) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে আঞ্চলিক দুই প্রতিদ্বন্দ্বির খেলা শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। দুই দলের পয়েন্টই ৫ করে। গোল গড়ে এগিয়ে বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। নেপাল গ্রুপ রানার্সআপ।

আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ হলেও বাংলাদেশ চেষ্টা করেছে জয় ছিনিয়ে আনার। সে লক্ষ্যেই শুরু করে বাংলাদেশ এবং শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল মামুনুলরা। খেলার ১২ মিনিটে নেপাল গোলরক্ষক বিকেশ কুথুকে ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে পেয়েও গোলের সুযোগ মিস করেন সাখাওয়াত হোসেন রনি। জামাল ভুঁইয়ার কাছ থেকে পাওয়া বলে শট নেন তিনি। সেই বল আগুয়ান গোলরক্ষকের হাতে লাগলেও গোলপোস্টের দিকে যেতে থাকে। তবে গোললাইনের সামনে থেকে নেপালের এক ডিফেন্ডার সেটা ক্লিয়ার করে দেন। ২২ মিনিটে হেমন্ত ক্ষিপ্র গতিতে বল নিয়ে সামনে এগিয়ে যান। কিন্তু গোলরক্ষকের সোজাসুজি দুর্বল শট নিয়ে গোলের সুযোগ মিস করেন তিনি।  ৪৩ মিনিটে জামালের ক্রসে পাওয়া বলে গোলের সুযোগ মিস করেন নাবিব নেওয়াজ জীবন।

নেপালও কম যায়নি। খেলার ২৭ মিনিটে বক্সের সামান্য বাইরে ফ্রিকিক পায় নেপাল। সেই বলে দুর্দান্ত কিক নেন অদিত্য চৌধুরী। তবে বাংলাদেশ গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা দুই দফা প্রচেষ্টায় বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নিলে বিপদমুক্ত হয় বাংলাদেশ। তাই গোলশূন্য থেকেই বিরতিতে যায় উভয় দল।

বিরতির পরও দু’দল বিক্ষিপ্ত কিছু চেষ্টা করেছিল একে অপরের জালে বল জড়াতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোলের খেলা গোলশূন্যভাবেই শেষ হলো।

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।