কাঙ্ক্ষিত জনশুমারি ১৫ থেকে ২১ জুন
কয়েক দফা তারিখ পরিবর্তনের পর অবশেষে দেশব্যাপী একযোগে সাতদিনব্যাপী কাঙ্ক্ষিত জনশুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হবে আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন। এ লক্ষ্যে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ট্যাবলেট কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ সুসম্পন্ন হলে এর রিপোর্ট স্বল্পতম সময়ে প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ষষ্ঠ এ জনশমারি ও গৃহগণনা কর্মযজ্ঞের বাস্তবায়ন করবে।
সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নির্ভুল ও বিশ্বমানের পরিসংখ্যান প্রণয়নে প্রথমবারের মত দেশে ‘ডিজিটাল জনশুমারি’ পরিচালনা হতে যাচ্ছে। এ জনশুমারিতে জিআইএস (জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম) ভিত্তিক ডিজিটাল ম্যাপ ব্যবহার করে ডিজিটাল ডিভাইস ‘ট্যাবলেট’র মাধ্যমে একযোগে দেশের সব খানা ও গৃহের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
জনশুমারি প্রকল্পের পরিচালক দিলদার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন সারাদেশে জনশুমারি অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর আগে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করবো। সবার সহযোগিতায় একটা নির্ভুল জনশুমারি উপহার দিতে পারবো।
‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১’ প্রকল্পের আওতায় এ কাজ সম্পন্ন হবে। জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৭৬১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। করোনা সংকটে জনশুমারির কাজ বার বার পিছিয়েছে।
‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’ নামে শুমারি পরিচালনা হবে। শুমারি শুরুর আগে ১৪ জুন রাত ১২টাকে ‘শুমারি রেফারেন্স পয়েন্ট বা সময়’ হিসেবে ধরা হয়েছে। আর ১৫-২১ জুন ‘শুমারি সপ্তাহ’। শুমারির আগে যে কোনো সময় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
এমওএস/এমকেআর/এএসএম