তামিমের ছক্কার সেঞ্চুরি
নার্ভাস নাইনটিজের সামনে দাঁড়িয়ে গত দুই মাস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২টি ছক্কা মেরেছিলেন। দুর্ভাগ্য, ২১ রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন ওই ম্যাচে। আর কিছুক্ষণ টিকে থাকলে হয়তো এভাবে নার্ভাস নাইনটিজে আর ভুগতে হতো না। অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হলো প্রয়োজন ‘এক’টাও সংগ্রহ করে ফেললেন তামিম ইকবাল খান। সিকান্দার রাজাকে ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিকে আছড়ে ফেলে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছক্কার সেঞ্চুরিয়ান হয়ে গেলেন এই ওপেনার।
সেঞ্চুরির মাইলফলকটা ছুঁয়ে ফেলবেনই, এটা ছিল জানা কথা। শুধু প্রশ্ন ছিল, এই সিরিজে কিংবা এই ম্যাচে পারবেন তো তামিম! অবশেষে পারলেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৪ বলে করা ২৯ রানে তামিম ছক্কা হাঁকিয়েছেন একটি। এই একটি ছক্কাতেই সেঞ্চুরি হাঁকানো হয়ে গেছে তার। সেঞ্চুরির মধ্যে টেস্টে তামিমের ছক্কা ২৭টি, ওয়ানডেতে ৬২টি এবং টি-টোয়েন্টিতে মেরেছেন ১১টি ছক্কার মার।
তামিমের পর কে ধেয়ে আসছেন সেঞ্চুরির মাইলফলকে! নামটি মুশফিকুর রহিমের। ৯২টি ছক্কা নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন তিনি। মজার বিষয় হলো, তৃতীয় স্থানে কোন জেনুইন ব্যাটসম্যান নন, রয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার ছক্কা ৮৯টি। ৭০টি ছক্কা মেরে চার নম্বরে রয়েছেন সাকিব আল হাসান।
দেশের ক্রিকেটে প্রথম ছক্কার সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উল্লেখ করারই মতন নয়। কারণ, এই জায়গায় ঢের এগিয়ে অন্য দেশের ক্রিকেটাররা। সবচেয়ে বেশি ছক্কার মার পাকিস্তানের ড্যাশিং অলরাউন্ডার বুম বুম আফ্রিদির। ৪৭৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪০০’র বেশি ছক্কা আর আছে কেবল গেইলের। ৪৮৯ ইনিংসে গেইল মেরেছেন ৪২৩টি ছক্কা। গেইলের চেয়ে আফ্রিদি ৪৪টি ছক্কা বেশি মেরেছেন, কিন্তু ব্যাট করেছেন মাত্র ১০ইনিংস বেশি। ৪৬৫ ইনিংসে ম্যাককালামের ছক্কা ৩৮১টি।
৩৫২টি ছক্কা নিয়ে চার নম্বরে রয়েছেন শ্রীলংকার সাবেক অধিনায়ক সনাৎ জয়াসুরিয়া। খেলেছেন ৬৫১টি ইনিংস। যদিও, জয়সুরিয়া টি-টোয়েন্টিই পেয়েছেন ক্যারিয়ারের একেবারে শেষ তিকে। তাও খেলেছেন মাত্র অল্প কয়েকটি ম্যাচ। ৪২৭ ইনিংসে ২৯১টি ছক্কা ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির। এ সময়ের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স ৪১৬ ইনিংসে ছক্কা মেরেছেন ২৬৭টি। মাত্র ক‘দিন আগে তিনি ছক্কা সংখ্যায় পেছনে ফেলেছেন শচীন টেন্ডুলকারকে (২৬৪টি)
আইএইচএস/এমএস