তেজগাঁওয়ে শিক্ষিকা উত্ত্যক্ত, প্রতিবাদ করায় বাইকচাপায় হত্যাচেষ্টা
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ড. লতা সমাদ্দার নামে এক কলেজশিক্ষিকাকে উত্ত্যক্তের পর মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২ এপ্রিল) সেজান পয়েন্টের পাশে রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নারী তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক। ঘটনার পর ওই শিক্ষিকা শেরেবাংলা নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে লতা সমাদ্দার উল্লেখ করেছেন, ‘শনিবার তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার বাসা থেকে রিকশায় করে ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের সামনে নামেন। সেখান থেকে হেঁটে কর্মস্থল তেজগাঁও কলেজের দিকে যাচ্ছিলেন। সেজান পয়েন্টের সামনে একজন পুলিশের পোশাক পরিহিত ব্যক্তি মোটরসাইকেলের ওপর বসেছিলেন। তার মোটরসাইকেলের নম্বর-১৩৩৯৭০।’
‘পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কপালে টিপ পরা নিয়ে ওই ব্যক্তি আমাকে কটূক্তিমূলক কথাবার্তা বলতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পেছনে ফিরে ঘটনার প্রতিবাদ করায় তিনি আরও গালিগালাজ করেন। পরে পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি আমরা গায়ের ওপর মোটরসাইকেল চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। সরে গিয়ে রক্ষা পেলেও শারীরিকভাবে আহত হই’ বলেও উল্লেখ করেন শিক্ষিকা লতা সমাদ্দার।
ট্রাফিক পুলিশকে বিষয়টি জানালেও ব্যবস্থা না নিয়ে থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেন বলে উল্লেখ করেছেন প্রভাষক লতা সমাদ্দার। তার ভাষ্য, ‘ঘটনার আকস্মিকতায় আমি পাশেই দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশকে বিস্তারিত জানায়। সেখানে থানা ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা আমাকে থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।’
জানতে চাইলে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কলেজে যাওয়ার পথে সেজান পয়েন্টের পাশে তাকে উত্যক্ত করা হয়। পরে তাকে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছে। লোকটি পুলিশের পোশাক পরা ছিলেন বলে ওনি অভিযোগ করেছেন।’
ওসি বলেন, ‘তবে ওই পুলিশ সদস্যের নাম বা পদবি জানাতে পারেননি ভুক্তভোগী শিক্ষিকা। তিনি একটি মোটরসাইকেলের নম্বর দিয়েছেন। সেই নম্বরের ভিত্তিতেই আমরা অভিযোগ খতিয়ে দেখছি।’
টিটি/এএএইচ