আমিরের দ্বিতীয় অভিষেক
অবশেষে অপেক্ষার প্রহর শেষ হল মোহাম্মদ আমিরের। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে, নানা বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে ফিক্সিংয়ের দায়ে পাঁচ বছর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবারো পাকিস্তান জাতীয় দলের জার্সিটা গায়ে উঠলো মোহাম্মদ আমিরের। শুক্রবার অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে টসে হেরে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমেছে পাকিস্তান। আর এ ম্যাচ দিয়েই ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার অভিষেক হল আমিরের।
তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার রাস্তাটা আমিরের সামনে মোটেও মসৃন ছিল না। একে তো স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ ছিলেন পাঁচ বছর। তারওপর, যেই না জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করেছিলেন তিনি, তখনই বিরোধীতা করে বসে বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার। মোহাম্মদ হাফিজ এবং আজহার আলি থেকে শুরু করে সিনিয়ররা সরাসরি বলে দেন, আমির থাকলে তারা খেলবেনই না। যুক্তি, দেশের মুখে কালি ছিটিয়েছেন- এমন কোন ক্রিকেটারের সঙ্গে তারা অন্তত ড্রেসিংরূম ভাগাভাগি করতে পারেন না। এমনকি, আজহার আলি ওয়ানডে নেতৃত্ব পর্যন্ত ছাড়তে চেয়েছিলেন। যদিও, শেষ পর্যন্ত আইসিসির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
দেশের সব ঝামেলা চুকিয়ে ফেললেও, আমিরের সামনে ছিল ভিসা সমস্যা। সরাসরি অপরাধের সঙ্গে জড়িত এমন কাউকে ভিসা দেওয়ার নিয়ম নেই নিউজিল্যান্ডের। যে কারণে দেশটির ভিসা পাওয়া নিয়ে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয় আমিরকে। যদিও, শেষ পর্যন্ত সেই ঝামেলাও কেটে গেছে খুব অনায়াসে।
আমির ফেরাতে যতটা উদ্বীপ্ত পাকিস্তান শিবির, তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি উদ্বীপ্ত নিউজিল্যান্ড। একে তো ঘরের মাঠ, তারওপর দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে কিউইরা। একের পর এক রেকর্ড গড়ছে আর ভাঙছে তারা। শ্রীলংকাকে নাকানি-চুবানি খাইয়েছে কিউইরা। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ব্ল্যাকক্যাপসরা। নিঃসন্দেহে ফেভারিটের তকমা রয়েছে কিউইদের ললাটে। যদিও পাকিস্তান চাইছে, এই সিরিজের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল প্রস্তুতিটা সেরে ফেলার। এখন দেখার বিষয়, মোহাম্মদ আমিরের ফেরাটা কেমন হয় আর পাকিস্তান উদ্দীপনা নিয়ে কতদুর এগুতে পারে?
এমআর/আরআইপি
