দখল বন্ধে লাউতলা খালপাড়ে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে: মেয়র আতিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ৩১ মার্চ ২০২২

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় লাউতলা খালে যাত্রী পরিবহনে ইঞ্জিনচালিত নৌকার লাইসেন্স দেওয়া হবে জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, লাউতলা খালে ময়লা ফেলা এবং দখল বন্ধে খালপাড়ে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। এছাড়া খালের সীমানা নির্ধারণ হলে পাড়ে ওয়াকওয়ে (হাঁটার রাস্তা) এবং সবুজায়ন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পুনরুদ্ধার করা লাউতলা খালের উদ্বোধন ও দূষণ রোধে জনসাধারণের অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।

jagonews24

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে লাউতলা-রামচন্দ্রপুর খাল উদ্ধার করেছি। এ রামচন্দ্রপুর-লাউতলা খালের ওপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠে ট্রাকস্ট্যান্ড। ১৪ বছর ধরে থাকা সেই ট্রাকস্ট্যান্ড আমরা উচ্ছেদ করেছি খাল বাঁচানোর জন্য। গত ২৩ জানুয়ারি আমরা খালটি উদ্ধারের কার্যক্রম শুরু করি। আজ (৩১ মার্চ) খালে পানিপ্রবাহ দেখতে পাচ্ছি। এ খালে কোনো ধরনের ময়লা ফেলা যাবে না। খাল পরিষ্কার রাখা ও তদারকির জন্য বিশেষ টিম গঠন করে দেওয়া হবে এবং সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। খাল দূষণকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় ১৪ মাস আগে আমরা ঢাকা ওয়াসা থেকে ২৯টি খাল বুঝে পাই। এরপর থেকেই দেখছি ‘দখল’ আর ‘দূষণ’র কবলে খালগুলো মৃতপ্রায়। খালে স্বচ্ছ পানিপ্রবাহ দেখার অভিপ্রায় নিয়ে কাজ করছি নিরন্তর।’

নগরবাসীর উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘আমরা কাজ করতে গিয়ে দেখেছি মানুষ এ খালকে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করছে। এ খালে পলিথিন, পুরোনো সোফা, কার্পেট, চটের বস্তাসহ বাসা-বাড়ির সব ধরনের ময়লা ফেলা হয়েছে। খালে ময়লা ফেলা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। এ খাল দিয়ে নৌযান চলবে, মাছের চাষ হবে এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাবে। এজন্য সরকার ও সিটি করপোরেশনের সঙ্গে জনগণেরও দায়িত্ব পালন করতে হবে। জনগণকে সংঘবদ্ধভাবে খাল দখলদার ও দূষণকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময়।’

মেয়র আতিকুল ইসলাম অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে লাউতলা খাল থেকে চারটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চড়ে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার পথভ্রমণ করে রামচন্দ্রপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগস্থলে পৌঁছান।

jagonews24

পরিদর্শন শেষে মেয়র বলেন, ‘৪৫ মিনিটের এ যাত্রাপথটি নৌযানে পৌঁছাতে মাত্র ছয় মিনিট সময় লাগবে। সিটি করপোরেশন থেকে প্রাথমিকভাবে ২০টি ইঞ্জিনচালিত নৌকার লাইসেন্স দেওয়া হবে এ পথে যাত্রী পারাপারের জন্য।’ তিনি বলেন, নৌকায় চড়ে আমি দেখেছি অসংখ্য খামার ও বাড়ির বর্জ্য সরাসরি এ খালে গিয়ে পড়ছে।

খামারি ও বাড়ির মালিকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা ব্যবসা করবেন, কিন্তু এ খালের ও শহরের ক্ষতি করবেন না। শুধু নিজের স্বার্থের কথা না ভেবে সবার কথা চিন্তা করবেন, এ শহরের কথা চিন্তা করবেন। এ খালটি এতদিন সঠিক তদারকি ছিল না। এখন এ খালের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। খালের সীমানা নির্ধারণকাজ চলমান। খালের সীমানার মধ্যে যত স্থাপনা থাকবে সব ভেঙে ফেলা হবে। সীমানা নির্ধারণ হলে এ খালের পাড় দিয়ে ওয়াকওয়ে (হাঁটার রাস্তা) এবং সবুজায়ন করা হবে। যদি জায়গা বেশি পরিমাণ থাকে সেক্ষেত্রে সাইকেল লেনও করা হবে।

এমএমএ/এমএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।