আসল সার এনে গুদামে নকল সার সরবরাহ, ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৯:৪৬ পিএম, ২৮ মার্চ ২০২২
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) সার কারখানা থেকে যশোর বাফার গোডাউনে সার পরিবহনের সময় পথিমধ্যে আসল সার পাল্টিয়ে নকল সার সরবরাহের অভিযোগে পরিবহন ঠিকাদার ও তার প্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলা করেছে টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেড (টিএসপিসিএল)।

সোমবার (২৮ মার্চ) যশোর কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলাটি করেন টিএসপিসিএলের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মো. সোলায়মান।

জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর জেলার কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আসল সার পাল্টিয়ে ভেজাল সার সরবরাহের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টিএসপিসিএলের উপ-মহাব্যবস্থাপক বলেন, চট্টগ্রামের টিএসপি সার নিয়ে পথিমধ্যে ভেজাল মিশ্রণ করে যশোর বাফার গোডাউনে সরবরাহের অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। মামলায় সার পরিবহনকারী ঠিকাদার মেসার্স সৈয়দ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. আহসান হাবীব ও তার প্রতিনিধি সার উত্তোলনকারী মো. আরিফকে আসামি করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ১৭ মার্চ টিএসপিসিএলের চট্টগ্রামের পতেঙ্গা কারখানা থেকে বেশ কয়েক ট্রাক যশোর বাফার (বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন) গোডাউনে পরিবহনের জন্য সরবরাহ করা হয়।

পরের দিন যশোর বাফার গোডাউনে টিএসপি সার খালাসের সময় সন্দেহ হলে গোডাউন ম্যানেজার আকতারুল হক পাঁচ ট্রাকের সার খালাস বন্ধ করে দেন। এসময় ট্রাকগুলো আটক করা হয়। পরে গোডাউন ম্যানেজার বিষয়টি লিখিতভাবে বিসিআইসি ও টিএসপি কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে বিসিআইসির নির্দেশে টিএসপিসিএল কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।

তদন্ত কমিটি ২০ মার্চ যশোর বাফার গোডাউন পরিদর্শন করে সন্দেহযুক্ত সারের নমুনা সংগ্রহ করেন। সংগৃহীত নমুনা ল্যাবে পরীক্ষা করে সারে ভেজালের প্রমাণ পায়। এরপর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহন ঠিকাদার সৈয়দ এন্টারপ্রাইজের মালিকের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নেয় টিএসপিসিএল।

আরও জানা গেছে, যশোর ও ভোলা বাফার গোডাউনে নয় হাজার টন টিএসপি সার পরিবহনের জন্য চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রামের মাঝিরঘাটের পরিবহন ঠিকাদার মেসার্স সৈয়দ এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দেয় টিএসপি কমপ্লেক্স। এরপর থেকে সার পরিবহন করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। কার্যাদেশের শর্তমতে, যশোরে প্রতিটন দুই হাজার ৬৬১ টাকা ৫০ পয়সা করে ও ভোলায় প্রতি টন দুই হাজার ২১৪ টাকা ২৮ পয়সা করে পরিবহন ব্যয় (ভ্যাট ট্যাক্সসহ) নির্ধারিত হয়।

ইকবাল হোসেন/আরএডি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।