প্রবাসীদের বিনিয়োগে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ


প্রকাশিত: ১২:৩৬ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০১৬

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় সকল সূচকে শীর্ষে রয়েছে। আগামী ২৫ বছরের মধ্যে অর্থনীতিতে অস্ট্রেলিয়াকেও ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। এমনটিই বলছেন বিশ্বের বিখ্যাত গবেষকরা।

তিনি বলেন, দেশের অগ্রগতির জন্য শিল্পায়নের বিকল্প নেই। কিন্তু সিলেট এক্ষেত্রে পিছিয়ে। শিক্ষা ও শিল্পে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। দেশের উন্নয়নে শিল্পায়নই বড় ভূমিকা রাখতে পারে। সিলেটের বিশাল একটি অংশ প্রবাসী। এই প্রবাসীরা শিল্প কারখানায় বিনিয়োগে এগিয়ে আসলে আরো দ্রুত এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে `দ্রুত অগ্রগতির সোপানে বাংলাদেশ : সিলেটের ভূমিকা` শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সিলেট চেম্বারের সভাপতি সালাউদ্দিন আলী আহমদের সভাপতিত্বে সেমিনারের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চেম্বারের পরিচালক ও সেমিনার-সম্মাননা প্রদান উপ-কমিটির আহ্বায়ক মো. মুকির হোসেন চৌধুরী। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, আইন ও সালিস কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. সুলতানা কামাল প্রমুখ।

মূলপ্রবন্ধে ড. ফরাসউদ্দিন বলেন, সিলেট খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ অঞ্চল। এই অঞ্চলে রয়েছে গ্যাসের বিপুল ভান্ডার। তেল, কেরোসিন, কয়লা, পাথর, বালির মজুদ রয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি ইউরেনিয়াম পাওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া রাবার, আগরের কাঁচামালসহ অনেক শিল্পের কাঁচামালই সিলেটে রয়েছে।

এছাড়া দেশে বার্ষিক গড়ে যে ১৫শ` কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আসে তার বড় অংশই পাঠাচ্ছেন সিলেটের প্রবাসীরা। তবে এই অর্থের বড় অংশই ব্যয় হচ্ছে অর্থহীন বাহারি অট্টালিকা আর বড় শপিংমলে। সিলেটে জমাকৃত ব্যাংক ডিপোজিটের এক চতুর্থাংশও বিনিয়োগে ব্যবহার হচ্ছে না।

ড. ফরাস উদ্দিন আরো বলেন, এক সময়ে সিলেট পুরো দেশের ১৭ জেলার মধ্যে শিক্ষায় দ্বিতীয় ছিল। লেখাপড়ার ক্ষেত্রে এখন ৬৪ জেলার মধ্যে সিলেটের অবস্থান ৬১তম। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। শিক্ষায় বিনিয়োগকে সবচেয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতি না হলে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।

মূলপ্রবন্ধে ড. ফরাসউদ্দিন সিলেটে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন, পর্যটন খাতে সমন্বিত উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, শ্রীমঙ্গলে চা বোর্ডের প্রধান কার্যালয় ও নিলাম কেন্দ্রস্থাপন, শিল্পজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাত করতে প্রতিবন্ধকতা দূর করার দাবি জানান।

তিনি আরো বলেন, এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করা সম্ভব হলে সিলেটের শিল্পখাতে অগ্রগতির বিশাল সুযোগ রয়েছে। বিশেষত সিলেটে পর্যটন শিল্পের প্রসার সম্ভাবনা আকাশচুম্বি বলে মন্তব্য করেন এই অর্থনীতিবিদ। এক্ষেত্রে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো সুরক্ষার দাবি জানান তিনি।

সিলেট চেম্বারের হল রুমে আয়োজিত এই সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, সিলেট চেম্বারের সাবেক সভাপতি এমএ মুবিন চৌধুরী, এমএ সালাম, সিলেট মহানগর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ড. তৌফিক হোসেন চৌধুরী, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

ছামির মাহমুদ/এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।