ব্যক্তিগত অপরাধের দায় নেবে না ডিএমপি
পুলিশ সদস্যদের অপরাধ জিরো টলারেন্স দেখাতে চায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। কোনো পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় নেবে না ডিএমপি। এর দায় ব্যক্তিকেই নিতে হবে। অপরাধের শাস্তি পেতে হবে। পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিএমপি সদর দফতর।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ডিএমপি সদর দফতরে আয়োজিত মাসিক ক্রাইম কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ডিএমপির প্রত্যেকটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এসব নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। একাধিক সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
একাধিক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালককে হয়রানির দায়ে মোহাম্মদপুর থানার এক এসআইকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এরপর বিভিন্ন মিডিয়ায় ও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে পুলিশকে নিয়ে নানা ধরনের নিউজ ও প্রচারণায় বিব্রত পুলিশ।
তারা জানান, কোনো পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় সমগ্র পুলিশ বাহিনী নিতে পারে না। ব্যক্তির অপরাধ ব্যক্তিকেই পেতে হবে। অপরাধ করলে কোনো পুলিশ সদস্য ছাড় পাবেন না। এমন কথাই বলেছেন ডিএমপি কমিশনার।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মারুফ হোসেন সরকার জাগো নিউজকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরো পরিশ্রমী ও জনবান্ধব হতে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, কারো ব্যক্তিগত অপরাধের দায় পুলিশ বাহিনী নেবে না। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। সুতরাং সবাইকে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
মারুফ হাসান সরদার আরো বলেন, সাধারণ মানুষ সেবা ও সহযোগিতা পাবার আশায় থানায় যায়। তাদের সব ধরনের পুলিশি সেবা ও সহযোগিতা দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার।
এবারের ক্রাইম কনফারেন্সে ডিসেম্বর মাসের শ্রেষ্ঠ ডিসি হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার। শ্রেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) একই বিভাগের সত্যকী কবিরাজ ঝুলন।
এছাড়া ওয়ারি বিভাগের গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মিজানুর রহমান শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন। ক্রাইম কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন; ডিএমপির প্রত্যেকটি বিভাগের ডিসি, এডিসি, এসি, থানার ওসি ও ইন্সপেক্টররা।
জেইউ/এসএইচএস/আরআইপি